অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে তুলসী গঙ্গা নদীপাড়ের মাটি

প্রকাশ: এপ্রিল ২০, ২০২১

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁয় তুলসী গঙ্গা নদীপাড়ের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। নদীপাড়ের মাটি কেটে নেয়ায় নদীভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদীপাড়ের মাটি কাটায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তোয়াক্কা করছেন না ব্যবসায়ীরা। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। অবাধে নদীপাড়ের মাটি কাটায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সদর উপজেলার বোয়ালিয়া তিলকপুর ইউনিয়নের উত্তর দক্ষিণ দিক দিয়ে তুলসী গঙ্গা নদী বয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে রামকালী ব্রিজের উত্তর অংশে এক্সক্যাভেটর দিয়ে নদীপাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। একইভাবে তিলকপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে নদীর পশ্চিম পাড়ে কোদাল দিয়েই চলছে মাটি কাটা। এসব মাটি ট্রাক্টর দিয়ে স্থানীয় মেসার্স মাসুমসহ কয়েকটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক্টর মাটি ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

দীর্ঘদিন খনন না করায় তুলসী গঙ্গা নদী অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় এতে প্রতি বছর বন্যার পানিতে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়। নদীপাড়ের জায়গা নিজেদের ব্যক্তি মালিকানাধীন দাবি করে অনেকেই মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকায় মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না বলে জানান।

নদীপাড়ের মাটি বিক্রেতা দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় আব্দুল মালেক জানান, তিনি একজন মাটি ব্যবসায়ী। দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ১৪ কাঠা জমির মাটি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। ওই মাটি প্রতি ট্রাক্টর ৩৫০ টাকা হিসেবে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। জমির কাগজপত্র সবকিছুই ঠিকঠাক আছে। প্রশাসন ব্যাপারে অবগত আছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন, যারা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিজস্ব জমি থেকে কেউ যদি মাটি কাটে, সেখানে তো আমরা বাধা দিতে পারি না। কেউ যদি নদীপাড়ের মাটি নিজের বলে দাবি করা হয়, তাহলে কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এটি সময় সাপেক্ষ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫