পদ্মাপারে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব

প্রকাশ: এপ্রিল ১৯, ২০২১

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুরে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে বালি মাটি উত্তোলন করছে একটি মহল। জেলা শহরসংলগ্ন পদ্মা নদীর পার, সিঅ্যান্ডবি ঘাট, মদনখালী ধলার মোড় এলাকা থেকে এসব বালি মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মহলটি প্রভাবশালী হওয়ায় অনিয়মের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।

এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় বাদশা মিয়ার ছেলে আজম, দুলাল, বাবু, তন্ময়, যুব, বদর উদ্দিন তার ছেলে জাহাঙ্গীর, লক্ষ্মীপুর এলাকার রাজু, রানা, তানীম, রুহুলসহ প্রায় ৫০ জন বালি মাটি উত্তোলনে জড়িত। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতি রাতে ওই এলাকা থেকে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকার বালি মাটি বিক্রি করে থাকে তারা। রাত ১২টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত উত্তোলন চলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নদীপারের বালি মাটি উত্তোলনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই মহলটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবৈধ বালি ব্যবসায়ী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ (কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট) মো. কামাল হোসেনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আমরা বালি উত্তোলন করছি। এছাড়া এসিল্যান্ডের গাড়িচালকের সঙ্গে আমাদের যোগসাজশ রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে নামলেই তিনি আমাদের গোপনে বিষয়টি জানিয়ে দেন। আমরা তখন বালি কাটা বন্ধ দিই।

বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ কামাল হোসেন বলেন, আমার সঙ্গে অবৈধ বালি মাটি উত্তোলনকারীদের সম্পৃক্ততা নেই। টাকা নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা বলেন, আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

বিষয়ে ডিগ্রিচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির বলেন, রাতের আঁধারে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে বালি মাটি উত্তোলন করে বলে শুনেছি। তবে আমি তাদের চিনি না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫