সিপিডির সংলাপে বক্তারা

জীবন-জীবিকায় ভারসাম্য বজায় রাখার তাগিদ

প্রকাশ: এপ্রিল ১৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বাংলাদেশে। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে শিল্প-কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তবে জীবিকার সঙ্গে জীবনের ভারসাম্যও বজার রাখতে হবে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে না পারলে অবস্থা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে আয়োজিত কভিড অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ: কীভাবে সামলাব শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সংলাপে বক্তারা বলেন, গত বছরের লকডাউনে দেশের অর্থনীতির প্রচুর ক্ষতি হয়। এবারের লকডাউনেও অর্থনীতির চাকা মন্থর হয়ে পড়বে। অবস্থায় জীবন জীবিকার মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদা খাতুন বলেন, শিল্প-কারখানা খোলা রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমিয়ে আনতে হবে। কভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে হলে এভাবেই জীবন জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে হবে।

বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম এমপি বলেন, আমাদের করোনাভাইরাস সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ। দেশের মানুষ দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে জানে। করোনা দুর্যোগেও আমাদের সতর্ক থেকে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হবে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউনে অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। কিন্তু মুহূর্তে জীবিকার চেয়ে আগে জীবনকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা . এএসএম আলমগীর, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা . মুশতাক হোসেন, ল্যাবএইড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক . এমএম শামীম, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫