ছয় ভোগ্যপণ্যের দাম বেঁধে দিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর

প্রকাশ: এপ্রিল ১৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেশকিছু ভোগ্যপণ্যের চাহিদার সুযোগ নিয়ে রমজানের আগে বেশি দামে পণ্য বিক্রির প্রবণতা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর পাশাপাশি কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিমুনাফার অভিযোগ ওঠে। অবস্থায় ভোক্তাদের সুবিধা দিতে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, পেঁয়াজ ডাল ছয় পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটি থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানে বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা সরবরাহ পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকবে। ফলে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে গতকাল -সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৬৩-৬৭ টাকা পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভোজ্যতেল এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকায় বিক্রি হবে। মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা সরু দানার ডাল ৯৭-১০৩ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া চিনির খুচরা মূল্য কেজিপ্রতি ৬৭-৬৮ টাকা এবং প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর ৮০-১০০ টাকা মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং টিম বাজার তদারকি অব্যাহত রেখেছে।

বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বণিক বার্তাকে বলেন, ভোক্তাদের সুবিধার্থেই ভোগ্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। এসব পণ্যের দাম বাজারদরের বেশ নিচেই রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে দামের সমন্বয় করা হবে। রমজানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দ্রব্যের বার্ষিক চাহিদা, রমজানের চাহিদা, আমদানির পরিমাণ মূল্য, উৎপাদনের পরিমাণ এবং পাইকারি যৌক্তিক খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫