হার্ড ইমিউনিটির কাছাকাছি যুক্তরাজ্য!

প্রকাশ: এপ্রিল ১১, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী সোমবার যুক্তরাজ্য হার্ড ইমিউনিটি পেয়ে যাবে বলে মনে করছেন দেশটির একদল গবেষক। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকদের মতে, এর মাধ্যমে মহামারীর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কাটিয়ে উঠবে দেশটি। খবর ব্লুমবার্গ।

ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, হার্ড ইমিউনিটি হলো একটি সমাজের এমন একটি অবস্থা, যেখানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক মানুষ ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। ফলে ওই সমাজে আর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। হার্ড ইমিউনিটি আসতে পারে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে অথবা ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার মাধ্যমে। 

ধারণা করা হচ্ছে, দেশটির তিন-চতুর্থাংশ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। তবে দেশটিতে এখনো সংক্রমণ মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে ব্রিটেন সরকার বিধিনিষেধগুলো শিথিল করে দিচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে বাড়ির বাইরে বসে খাবার সুযোগও। এসব কারণে আশা করা হচ্ছে যে হার্ড ইমিউনিটির দিকেই এগোচ্ছে দেশটি।

অবশ্য অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে হার্ড ইমিউনিটি থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে যুক্তরাজ্য। ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ কভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত নয়। কয়েকজন বিজ্ঞানী তো এটাও বলেছেন যে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার সক্ষমতা নিয়ে একটু বেশিই কথা বলা হচ্ছে। টিকাকে অতিমূল্যায়িত করা হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ।

ইমপেরিয়াল কলেজের প্রভাষক অ্যান কোরি বলেন, ইমিউনিটি বা প্রতিরোধের স্থায়িত্ব নিয়ে মতভেদ আছে। তা সেটা টিকা গ্রহণের মাধ্যমেই হোক আর প্রাকৃতিকভাবেই হোক। যদি মানুষের শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমতে থাকে তাহলে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছেও সেখানে বেশিদিন অবস্থান করা যাবে না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫