বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে ২ কোটি মানুষ

প্রকাশ: এপ্রিল ০৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

জীবাশ্ম জ্বালানি এবং তেল ব্যবহার কমাতে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ছে। নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। গ্রিডের বিদ্যুৎ সুবিধা নেই এমন এলাকায় গত ১৫ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে সোলার হোম সিস্টেমের ব্যবহার বেড়েছে। প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দুই কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।

গতকাল বাসাবাড়িতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। লিভিং ইন দ্য লাইট-দ্য বাংলাদেশ সোলার হোম সিস্টেম স্টোরি শীর্ষক প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী যেসব দেশ সোলার এনার্জির মাধ্যমে প্রান্তিক এলাকায় বিদ্যুৎ নিয়ে গেছে, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বিশেষত অফগ্রিড এলাকায় জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেয়েছে।

মূলত প্রান্তিক অফগ্রিড এলাকায় সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রামের আওতায় কী পরিমাণ জনগোষ্ঠী নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের আওতায় এসেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। ২০০৩ সালে ৫০ হাজার প্রান্তিক মানুষকে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে পাইলট প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া ১৬ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষত অফগ্রিড এলাকায় সোলারের মাধ্যমে বহু আগে থেকে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। সোলার হোম সিস্টেমের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের অংশ হিসেবে সোলার হোম সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অফগ্রিড এলাকায় আমরা বিদ্যুতায়ন করেছি। মুজিব বর্ষের মধ্যেই আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করব।

মূলত প্রতিবেদনে সোলার হোম সিস্টেমে কী ধরনের সফলতা এসেছে, কীভাবে প্রকল্পে অন্যদের অংশগ্রহণ বেড়েছে এবং চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার করতে অর্থনৈতিক উৎসগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। প্রত্যন্ত এবং অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌঁছাতে সোলার এমনই এক প্রযুক্তি। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সোলারের ব্যবহার বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শিশুদের অধ্যায়নের জন্য সোলার সিস্টেম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সোলার এনার্জির কার্যক্রম আমাদের দুই দশকের। একই সঙ্গে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে গত দুই দশকে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকার।

২০০৩-১৮ সাল পর্যন্ত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ায় বাতাস যেমন দূষণমুক্ত হয়েছে, তেমনি দশমিক বিলিয়ন লিটার কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে। আর এসব কার্যক্রমে পল্লী অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন এবং ইডকলের কারিগরি সহায়তা বেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫