ইথিওপিয়ার গম ভুট্টা যব উৎপাদন বাড়ছে

প্রকাশ: এপ্রিল ০৯, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

নানা প্রতিকূলতায় চলতি বিপণনবর্ষে ইথিওপিয়ার গম, ভুট্টা যবের উৎপাদন কিছুটা কমে গেলেও আগামী বছরে তা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন কৃষি সরঞ্জামাদি বৃদ্ধিতে সরকারের উদ্যোগ দেশটিতে খাদ্যশস্য দুটি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছেন তারা। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইন ডটকম।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি অধিদপ্তরের (ইউএসডিএ) গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (জিএআইএন) প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি ২০২০-২১ বিপণনবর্ষে ইথিওপিয়ায় ৫১ লাখ টন গম উৎপাদনের প্রাক্কলন করা হয়েছে। মরু পঙ্গপালের উপদ্রবের কারণে চলতি সেশনে দেশটির গমের গুণগত মান পরিমাণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে ইউএসডিএর পূর্বাভাস বলছে, ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে ৫১ লাখ ৮০ হাজার টন গম উৎপাদনের রেকর্ড করতে যাচ্ছে ইথিওপিয়া।

দেশটির অল্পসংখ্যক কৃষকের মধ্যে গম উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ সেচ ব্যবস্থার জন্য তাদের বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করতে হতো। কারণে অনেক কৃষক গম উৎপাদনে আগ্রহ হারান। তবে সম্প্রতি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি যন্ত্রপাতির সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ভাড়ায় চালিত যন্ত্রপাতির সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে দেশটির সরকার। এসব কারণে সম্প্রতি গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।

দেশের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ইথিওপিয়া সরকারকে গম আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ গম আমদানি করতে হয় দেশটিকে। ইউএসডিএর মতে, প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ টন গম আমদানি করতে হয় পূর্ব আফ্রিকার দেশটিকে।

এদিকে গমের পাশাপাশি বাড়ছে দেশটির ভুট্টা উৎপাদনের পরিমাণও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০ বছর ধরে ইথিওপিয়ার ভুট্টা উৎপাদন বেড়েই চলছে। উচ্চফলনশীল জাতের বীজ বপন, মানুষের খাদ্যতালিকায় ভুট্টার চাহিদা বৃদ্ধি, প্রাণিসম্পদ মোটাতাজাকরণ দুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে পশুখাদ্যে ভুট্টার ব্যবহার বাড়ার ফলে দেশটিতে ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে।

ইউএসডিএর প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে ইথিওপিয়ার ভুট্টা উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াবে ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টনে। একই সঙ্গে আগামী বিপণনবর্ষে মাত্র ৩৫ হাজার টন ভুট্টা আমাদানির প্রয়োজন অনুভব করছে দেশটি। কেবল খাদ্যসহায়তার জন্য পরিমাণ ভুট্টা আমদানির কথা ভাবছে ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নতুন নতুন মল্ট কারখানা গড়ে ওঠা এবং খাদ্যচাহিদা পশুখাদ্য হিসেবে যবের ব্যবহার দেশটিতে খাদ্যশস্যটির উৎপাদন বাড়িয়েছে। কারণে ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে দেশটিতে যব উৎপাদন গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ২৩ লাখ ৬০ টনে দাঁড়াবে। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে কমে আসবে দেশটির যব আমদানির পরিমাণও।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫