আলোকপাত

করোনাঘাতে অর্থনীতি ও শ্রমবাজার : কিছু অভিজ্ঞতা, কিছু প্রশ্ন

প্রকাশ: এপ্রিল ০৭, ২০২১

রিজওয়ানুল ইসলাম

কভিড মহামারীর তাণ্ডবে সারা পৃথিবীতে বড় ধরনের সংকট চলছে। ২০২০ সালের গোড়ায় শুরু হওয়া রোগের সংক্রমণ বছরের মাঝামাঝি নাগাদ কিছুটা কমে এলেও শরত্কালে আবার বাড়তে থাকে এবং ইউরোপের অনেক দেশেই দ্বিতীয় ঢেউ এসে আঘাত হানে। এখনো সেই আঘাতে বিভিন্ন দেশ জর্জরিত। রোগটির আক্রমণ থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে, তার ফলে জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত এবং মানুষের জীবিকা পড়ে ঝুঁকির মুখে। জীবন আর জীবিকার এই দ্বন্দ্বে মানুষ আজ নাস্তানাবুদ।

২০২০ সালের বসন্তকাল থেকেই বৈশ্বিক অর্থনীতি পড়েছে গভীর মন্দায়। অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বিভিন্ন দেশে বেকারত্ব কর্মহীনতা বেড়েছে দ্রুত। বস্তুত, বিংশ শতাব্দীর তিরিশের দশকের মহামন্দা বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানবজাতি রকম সংকটে আর পড়েনি। সংকটের প্রকৃত চেহারাটি কী? কেমন তার প্রভাব কর্মজগতের ওপর? কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য? কতটা কার্যকর হচ্ছে সেসব পদক্ষেপ? মহামারীর সময় আমরা দেখেছি দরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষের অসহায় অবস্থা। কেন তাদের অবস্থা হলো? কী করলে ভবিষ্যতে কোনো সংকটে তারা এতটা অসহায় অবস্থায় পড়বে না? মহামারী-পরবর্তী অবস্থায় সাধারণ মানুষ যেন আগের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে যেতে পারে, তার জন্য কী করা যেতে পারে? এসব প্রশ্ন নিয়ে বছরজুড়েই চলছে গবেষণা এবং আলোচনাসারা বিশ্বে যেমন, বাংলাদেশেও।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, করোনার নেতিবাচক প্রভাবের ফলে সেগুলো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোর (এসডিজি), বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অসাম্য কমানো এবং সবার জন্য শোভন কর্মসংস্থানের মতো অভীষ্টগুলোর কথা বলা যায়। আর এসব বিষয়ের আলোচনায় দৃষ্টি শুধু বাংলাদেশের ওপর সীমাবদ্ধ না রেখে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটটিও মনে রাখা উচিত। সেই প্রেক্ষিত থেকে কিছু প্রসঙ্গের অবতারণা করা হচ্ছে এখানে।

বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংক্রমণের হারে এত পার্থক্য কেন?

কভিড মহামারীর বৈশ্বিক মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখা যায় যে ইউরোপ, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা এশিয়ার কোনো কোনো দেশে করোনার সংক্রমণ বেশি হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকার অনেক দেশে এবং এশিয়ার কিছু দেশে সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। পার্থক্যের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরাও হিমশিম খাচ্ছেন এবং বলছেন যে এখনো অনেক কিছুই অজানা রয়ে  গেছে। প্রজনন শাস্ত্র (অর্থাৎ বংশানুগতি-সংক্রান্ত) থেকে শুরু করে আবহাওয়া, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতনতা, কত দ্রুততা এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ইত্যাদি বিষয় দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার তারতম্য ব্যাখ্যা করার। কিন্তু তার পরও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। উদাহরণস্বরূপ, চীন, থাইল্যান্ড ভিয়েতনামে সংক্রমণের হার বাংলাদেশ বা ভারতের চেয়ে এত কম ছিল কেন?

যেসব দেশে মহামারীর তীব্রতা কম, সেখানে কি অর্থনীতি কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?

কভিড মহামারীর ভয়াবহতার সঙ্গে অর্থনৈতিক মন্দার গভীরতার কোনো সম্পর্ক দেখা যায় কি? বিষয়টি বিশ্লেষণ করার জন্য সংক্রমণ ঠেকাতে সফল হয়েছে রকম কয়েকটি দেশের (যেমন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান দক্ষিণ কোরিয়া) সঙ্গে কম সফল কয়েকটি দেশের  (যেমন বাংলাদেশ ভারত) অভিজ্ঞতার তুলনা করে দেখেছি। ২০২০ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দেখলে দেখা যায় যে মহামারী নিয়ন্ত্রণে সফল দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দা বা নিম্নগতি ঠেকাতে সফল হয়নি। যেমন বাংলাদেশের তুলনায় থাইল্যান্ড ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি ছিল না। তাছাড়া লকডাউন ব্যবস্থা অবলম্বন করেনি এমন দেশের (সুইডেন) সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে রকম দেশের (ডেনমার্ক, নরওয়ে ফিনল্যান্ড) অবস্থার তুলনা করে দেখছি যে লকডাউন না করেও সুইডেন মন্দা এড়াতে পারেনি।

মন্দার প্রভাবে কী হচ্ছে শ্রমবাজারে?

অর্থনীতিতে মন্দা বা নিম্নগতি দেখা দিলে তার অভিঘাত পড়ে শ্রমবাজারের ওপর, বেড়ে যেতে পারে বেকারত্বের হার। কিন্তু সব দেশে অভিঘাত এক রকম হয়নি। প্রথমত, উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যেও বেশ পার্থক্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিসহ কিছু দেশে তা হয়নি। পার্থক্যের কারণ বুঝতে হলে দেখতে হবে ইউরোপেরসোস্যাল মডেলকীভাবে বেকারত্ব ঠেকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে আর অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গেই বেকারত্বের হার কেন এত বেড়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার যে উল্লিখিত সব দেশই মন্দা অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কিন্তু তাদের কর্মপরিকল্পনার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, ভারত চীনের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায়, ভারতে লকডাউনের সময় বেকারত্বের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল কিন্তু চীনে তেমনটা হয়নি। এর কারণ বোঝা কঠিন নয়। ভারতে মোট শ্রমশক্তির বিশাল অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত আর লকডাউনে ধরনের কর্মকাণ্ডই তাত্ক্ষণিকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। অন্যদিকে চীনে বাজারভিত্তিক অর্থনীতি চালু হলেও বেকারত্বের হার কখনই বেশি বাড়তে দেয়া হয় না।

বাংলাদেশের শ্রমবাজারে অর্থনৈতিক সংকটের অভিঘাত...

বাংলাদেশের শ্রমবাজারে শুধু যে কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা- নয়, শ্রমিকের প্রকৃত মজুরির ওপরও একই রকম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমাদের হিসাবে ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিলের লকডাউনের সময় মোট শ্রমশক্তির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু হওয়ার পরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে সময় লেগে যাচ্ছে অনেক। আর সে কারণে শ্রমবাজারের অবস্থাও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শিল্প, নির্মাণ সেবা খাত সংকটে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

শুধু দেশের ভেতরে নয়, বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের ওপরও অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়ছে। যেসব দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করেন, সেসব দেশে মন্দা দেখা দেয়ায় অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন এবং দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বিদেশে কাজ হারিয়ে কতজন দেশে ফিরেছেন, তার সঠিক হিসাব না থাকলেও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায় সংখ্যাটি বেশ বড়। আর নতুনভাবে কাজ নিয়ে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। সব মিলিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ২০২০ সাল ছিল হারানো বছর।

করোনা কি শ্রেণীভেদ ভুলিয়েছে?

করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে দেখা গিয়েছিল যে রোগটি রাষ্ট্রনায়ক, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ধনী ব্যবসায়ীযেকোনো ব্যক্তিকেই আক্রমণ করতে পারে। তা থেকে মনে করা হচ্ছিল যে রোগ ধনী-দরিদ্রের ভেদ ভুলিয়ে দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে শ্রেণী নির্বিচারে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে ঠিকই, তবে কোনো কোনো শ্রেণীর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেশি, তেমনি অর্থনৈতিক সংকটের ফল শ্রেণীভেদে ভিন্ন হতে পারে।

উন্নত উন্নয়নশীল সব দেশেই নিম্ন আয়ের জনগণ, বিশেষ করে অভিবাসী সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষ সাধারণভাবে বাস করে জনাকীর্ণ পরিবেশে। আর তার ফলে তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। বাস্তবেও দেখা গেছে যে তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। আর অর্থনৈতিক সংকটেও শ্রেণীর মানুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। ফলে দরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষরাই বেশি অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া যুবক নারীরাও মন্দার ফলে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সুতরাং রোগটি সমাজের অসাম্য কমাতে অবদান রাখতে পারে এমনটি মনে করার বিশেষ কোনো কারণ নেই।

টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে: তবে কবে নাগাদ হবে দলগতভাবে প্রতিরোধের ক্ষমতা?

২০২০ সালের ডিসেম্বরে টিকা আবিষ্কারের এবং অনুমোদনের সুসংবাদ আসতে শুরু করেছে এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। মানবজাতির জন্য এটি একটি সুসংবাদ। তবে সুসংবাদের সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা শেষ হয়ে যায়নি। দলগতভাবে রোগটি প্রতিরোধের ক্ষমতা (হার্ড ইমিউনিটি) সৃষ্টি হতে হলে জনগণের একটি ন্যূনতম অংশের (বর্তমানে চালু মতে ৭০-৮০%) টিকা নিতে হবে। শুধু শহরে নয়, শহরতলি, গ্রাম-গঞ্জ সর্বত্রই মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একই কথা বলা যায় নারী-পুরুষের পার্থক্যের ব্যাপারে। নারীদের কীভাবে সমানভাবে টিকা দেয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেটি শুধু এক দেশে নয়, সব দেশেই হতে হবে। কারণ সেটি না হলে মানুষের চলাচলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতেই থাকবে। কোথাও কেউ ঝুঁকিতে থাকলে সবাই ঝুঁকিতে থাকবে।

অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি: কেমন করছে বাংলাদেশ?

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সরকারও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যদিও সেসব পদক্ষেপের ফল কী হচ্ছে তা এখনো পুরোপুরি বিশ্লেষণ করা হয়নি, প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কয়েকটি কথা বলা যায়। প্রথমত, রফতানিমুখী শিল্প খাতের জন্য দেয়া সহায়তা পুরোপরি ব্যবহূত হয়েছে এবং তার ফল হয়েছে ইতিবাচক। তবে এটাও বলতে হয় যে অর্থনৈতিক সহায়তায় বড় উদ্যোক্তারা যত সহজে সাহায্য নিতে পেরেছেন, ছোট মাঝারিদের বেলায় তা হয়নি। আর যেখানে প্রয়োজন বেশি ছিল সেখানে, বিশেষ করে দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দেয়ায় শুধু যে দেরি হয়েছে তা- নয়, কর্মসূচিটিতে সহায়তার পরিমাণ ছিল খুব কম এবং তার বাস্তবায়নও ছিল হতাশাজনক। তাছাড়া সার্বিকভাবে কভিড মহামারী থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাব ছিল এবং পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায়ও ঘাটতি ছিল।

অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন কেমন হওয়া চাই?

প্রাক-মহামারীকালে উচ্চ প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশকিছু সীমাবদ্ধতা এরই মধ্যে দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, যেমন দারিদ্র্য হ্রাস টেকসই না হওয়া, অসাম্য বাড়া এবং সামাজিক সুরক্ষার, বিশেষ করে বেকারত্ব ভাতা অবসর ভাতার অনুপস্থিতি ইত্যাদি। সুতরাং বাংলাদেশের সামনে এখন মূল চ্যালেঞ্জ শুধু জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে আগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া নয়, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো  এবং নতুন যেগুলো যোগ হয়েছে, সবগুলোকে মোকাবেলা করা।

করোনা এখনো তার তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশে এই পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। কাজে সাফল্য মানবজাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনই সময় সম্পর্কে একটি প্রশ্ন করার: আমরা কি আবার করোনার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই নাকি সে সময়কার খামতিগুলোকে আমলে নিয়ে নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করব? আমরা কি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথাই বলতে থাকব নাকি তার সুফল বণ্টন প্রবৃদ্ধিতে সবার অন্তর্ভুক্তির কথাও বলব? অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধিকে একটি মানবিক চেহারা দেয়া যায় কীভাবে?

[বর্তমান নিবন্ধ লেখকের সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ ‘করোনাঘাতে অর্থনীতি শ্রমবাজার’ (বাতিঘর, ঢাকা)-এর ভিত্তিতে লেখা]

 রিজওয়ানুল ইসলাম: অর্থনীতিবিদ, সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা এমপ্লয়মেন্ট সেক্টর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, জেনেভা


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫