দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি সাধারণ মানুষের যতটা প্রত্যাশা, তার সবটুকু পূরণ করতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, জন আকাঙ্ক্ষা যে রকম, সেই মাত্রা অনুযায়ী আমরা পারিনি। জন আকাঙ্ক্ষা তখনই পূরণ করা সম্ভব, যখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সবাই একই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ হব। মানুষের আকাঙ্ক্ষার কোনো শেষ নেই। এটা পূরণের জন্য পরের কমিশন, তার পরের কমিশন, এর পরের কমিশন—এরপর একটা অবস্থায় যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কমিশনের পক্ষে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সব দুর্নীতি দুদকের আওতায় পড়ে না। তার পরও যেকোনো দুর্নীতির কথা এলেই দুদকের কথা এসেছে। আসলে সব দুর্নীতি কমিশনের আওতায় নেই। এটি আমরা হয়তো বোঝাতে পারিনি। এক কমিশনের পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। পরবর্তী কমিশন এটাকে আরো বেগবান করবে।
দুদক এখন অনেক ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে মন্তব্য করেন ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, দুদকের নখ-দাঁত নেই—সেটি অনেক পুরনো ও প্রাচীন কথা। এটি এখন আর নেই। দুদক যথেষ্ট ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান। যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে দুদকের। আইনি ম্যান্ডেট রয়েছে এবং আমি মনে করি যতটুকু আইন আছে, এ আইন দিয়ে অনেক কিছু করা যায়।
কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা টিম রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে পাঁচ থেকে ছয় কর্মকর্তার চাকরি চলে গেছে। অনেক কর্মকর্তার পদাবনতি হয়েছে। শাস্তি হিসেবে অনেককেই অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তবে দুদকে আরো বেশি স্বচ্ছ করতে হলে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, বিশিষ্ট সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যারা দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি খতিয়ে দেখবে।