দক্ষিণ আফ্রিকায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কাজ হারিয়েছে

প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেকারত্বের হার ৩২ দশমিক শতাংশে পৌঁছেছে। ২০০৮ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এটিই সর্বোচ্চ স্তর। সম্প্রতি জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস জানিয়েছে, বেকার মানুষের সংখ্যা তৃতীয় প্রান্তিকে লাখ হাজার থেকে বেড়ে ৭২ লাখে উন্নীত হয়েছে। খবর এএফপি।

পরিসংখ্যান অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মহামারীর কারণে সরকারি বেকারত্বের হার দশমিক শতাংশ পয়েন্ট থেকে ৩২ দশমিক শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত মার্চে দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর মহাদেশের সবচেয়ে শিল্পোন্নত অর্থনীতি গভীর মন্দায় পড়েছে। সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম হ্রাস করেছিল এবং এটি হাজার হাজার মানুষের চাকরি কেড়ে নিয়েছিল।

সর্বশেষ বেকারত্ব বৃদ্ধি ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী শ্রমিকদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। চাকরি হারানোর ক্ষেত্রে এর পরেই আছে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা। আর্থিক, সম্প্রদায়, সমাজসেবা উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছে।

চতুর্থ প্রান্তিকে ২১ দশমিক শতাংশ বেকারত্বের হার দেশটিতে আগের প্রান্তিকে রেকর্ড হওয়া ৩০ দশমিক শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। বেকারত্বের পরিসংখ্যান কভিড-১৯ লকডাউন ব্যবস্থার কঠোর পরিণতিগুলোকে প্রতিফলিত করে। ফলে সংস্থাগুলো মুনাফা আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভোগে, সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পুনর্গঠন এবং কর্মীদের ছাঁটাই করতে বাধ্য করে।

পরিসংখ্যান দেশটির বার্ষিক জাতীয় বাজেট ভাষণের প্রাক্কালে প্রকাশ করা হয়েছিল। পরিস্থিতিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কঠোর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং চাকরি হারানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফেডারেশন অব ইউনিয়নের মুখপাত্র ফ্রাঙ্ক এনক্সুমালো বলেন, পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। কর্মক্ষম আরো অনেক মানুষ আছে, যারা কাজ পাচ্ছে না। এমনকি শ্রমবাজার কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টিও করছে না।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫