রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদে ঢুকে ইউপি সদস্য ও জেএসএস সংস্কার দলের নেতা সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে বাঘাইছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত সমর বিজয় চাকমার স্বজন বিনয় চাকমা। মামলায় জেএসএস সন্তু দলের ১০ সদস্যের নাম উল্লেখ ও আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি জানান, মামলায় সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য মনিময় চাকমা, জনসংহতি সমিতির নেতা ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বড়ঋষি চাকমাসহ সংগঠনটির ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো আট-নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আশা করছি, দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা যাবে।
এদিকে নিহত সমর বিজয় চাকমার মরদেহ খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পাশের কক্ষেই ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে উপজেলার পিআইও অফিসে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকারের অফিসে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপের নেতা সমর বিজয় চাকমা। এ সময় দু-তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রুমে ঢুকে সমরের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।