ভূ-রাজনৈতিক কারণে সৃষ্ট জটিলতায় তথ্যপ্রযুক্তির বৈশ্বিক প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় তথ্যপ্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিযোগীদের কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। চীনভিত্তিক হুয়াওয়ে, গ্লোবাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন, সেন্টার অব এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিকস অব ফুডান ইউনিভার্সিটি এবং দ্য পেপারের উদ্যোগে সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘কানেক্টেড ফর শেয়ারড প্রসপারিটি’
শীর্ষক ফোরামে এসব কথা বলেন হুয়াওয়ের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ক্যাথরিন চেন। ফোরামে ‘বিলিভ ইন দ্য পাওয়ার অব টেকনোলজি’
শীর্ষক মূল প্রবন্ধও উপস্থাপন করেন তিনি।
বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশ থেকে অন্তত ১ হাজার অতিথি অনলাইন এবং সরাসরি এ ফোরামে যোগ দেন। যেখানে ভবিষ্যতের জন্য পৃথিবী গড়তে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের আন্তঃসংযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ক্যাথরিন চেন তার আলোচনায় মানবজাতির ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার চালিকাশক্তি হিসেবে প্রযুক্তির ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে তার একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং একটি সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পৃথিবী গঠনের প্রত্যয়ে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি ধারণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০২০ সাল সবার জন্যই মিশ্র প্রতিক্রিয়া বয়ে এনেছিল। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমাদের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। আমাদের পারিপার্শ্বিকতাকে দেখার চোখ ও যাচাই করার মনও অনেকখানি বদলে গিয়েছে। এ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়েই উপলব্ধি করতে পেরেছি সমাজের সবার মাঝে ঐকমত্য তৈরি করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। লকডাউন দেয়া না দেয়া থেকে আরম্ভ করে মাস্ক পরা বা না পরা, সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু দ্বিমত এবং বিবাদ আমরা লক্ষ্য করেছি।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্রমবিকাশ গোটা মানবসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু ইদানীং বিজ্ঞানের বিভিন্ন অসামান্য অবদানকে নানা ধরনের রাজনৈতিক জটিলতায় ফেলে দেয়া হচ্ছে। উদ্বেগ ও সংশয় থেকে অনেকের মনে বিজ্ঞানের প্রতি বিরূপ মানসিকতা জন্মাচ্ছে। এমনকি প্রযুক্তির প্রসারকে থামানোর জন্যও অনেকে রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।