সংসদে বিল পাস

শাখা খুলতে পারবে ট্রাভেল এজেন্সিরা

প্রকাশ: জানুয়ারি ২৫, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ দিতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতীয় সংসদ। 

আজ সোমবার ২০১৩ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। 

এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিলটি পাস হওয়ায় এখন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে। বর্তমানে কোনো অপরাধের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে। পাস হওয়া বিলে জরিমানার সুযোগও পাওয়া যাবে।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ্ল দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে অনুমোদন ছাড়া কোন ট্রাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে পারবে না।

বিলটি জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির কয়েকজন সংসদ সদস্য বিমানের টিকিট নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। জিডিএস সিস্টেম, টিকিট না পাওয়া এগুলো ছিলো। আমরা তদন্ত করেছি। কিছু স্টেপ নিয়েছি। যাতে কোনো সমস্যা না হয়। টিকিটিং সিস্টেম যাতে সমস্যা না হয়। ট্রাভেল এজেন্সি, এয়ারলাইন্স অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেনানাভাইরাসে। অনেক সংকটের মধ্যে চলছে। এখন কেউ বলতে পারবে না টিকিট নেই। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। টিকিটি নেই এটা বলতে পারবে না। এজেন্সি ও কনজিউমারের উভয়ের স্বার্থে বিলটি আনা হয়েছে। আমরা শাস্তি বাড়িয়েছি। জিডিএসের মাধ্যমে ইন্টারপুলেশন হত। যারা যুক্ত ছিল সবাইকে শাস্তির আওতায় এনেছি। আমি বলছি না দুর্নীতি নেই। সীমিত আকারে আছে। যে জড়িত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়া হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫