দুইবার জীবন পেয়ে ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিন
সেঞ্চুরি পেয়েছেন মারনুস লাবুশেন। এ জন্য অবশ্য তিনি চাইলে ধন্যবাদ জানাতে পারেন
ভারতীয় ফিল্ডারদের। যখন জীবন পেয়েছিলেন তখন অর্ধশতক পর্যন্তও যেতে পারেননি এ
ব্যাটসম্যান। প্রথমে ৩৭ রানে ব্যাট করার সময় একবার হাতের ক্যাচ ফেলেন ভারতীয়
অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। এরপর ৪৮ রানে ব্যাট করার সময় স্লিপে তাকে জীবন দেন
চেতেশ্বর পূজারা। জীবন পেয়ে অবশ্য আর পেছনে ফিরে তাকাননি, তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। পাশাপাশি দলকে বিপদের মুখ
থেকেও টেনে তোলার ক্ষেত্রেও রেখেছেন ভূমিকা। তার করা শতকেই দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৭৪
রান সংগ্রহ করেছে অসিরা।
এর আগে অসি দুর্গ গ্যাবায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের
সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক টিম পেইন। হয়তো লক্ষ্য ছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসের
সবচেয়ে অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়ে মাঠে নামা ভারতের ওপর রানের বোঝা চাপিয়ে দেয়া।
কিন্তু পেইনের সিদ্ধান্তকে শুরুতেই ভুল প্রমাণ করেন মোহাম্মদ সিরাজ। এই সিরিজে
ডেভিড ওয়ার্নারকে আরো একবার স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এ পেসার। মাত্র ১ রান
করেছেন ওয়ার্নার। ৫ রানের বেশি অবদান রাখতে পারেননি আরেক ওপেনার মার্কুস হ্যারিস।
দলীয় ১৭ রানে তাকে ফেরান শারদুল ঠাকুর। আরো একবার বিপর্যয়ে হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ
ও লাবুশেন। কিন্তু প্রতিরোধ গড়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন স্মিথ। ৩৬ রান করে ফিরে
যান ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকারে পরিণত হয়ে। তখন দলের রান ৮৭। এরপর দলকে টেনে নেন
লাবুশেন ও ম্যাথু ওয়েড। এ দুজন দলকে নিয়ে যান ২০০ রানে। ৪৫ রান করা ওয়েডকে ফিরিয়ে
এ জুটি ভাঙেন নটরাজন। এরপর সেঞ্চুরি করা লাবুশেনকেও দ্রুত ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে
ব্যাকফুটে ঠেলেন নটরাজন। ১০৮ রান আসে লাবুশেনের ব্যাট থেকে। ২১৩ রানে ৫ উইকেট
হারানো অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্য আর বিপদে পড়তে দেননি পেইন (৩৮) ও ক্যামেরুন গ্রিন (৩৮)। বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে পার করেন এ দুজন।
ক্রিকইনফো