২০১২-১৩ মৌসুমে শীর্ষে থেকে শিরোপা জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই শিরোপা দিয়েই কোচিংয়ের ইতি টানেন কিংবদন্তি স্যার আলেক্স ফার্গুসন। তার বিদায় ও ম্যানইউর দুঃসময় যেন একইসূত্রে গাঁথা হয়ে গিয়েছিল। একাধিক কোচ এলো গেলো কিন্তু শিরোপা জেতা দূরে থাক, লড়াইয়ে থাকাও কঠিন হয়ে উঠেছিল ইউরোপের প্রভাবশালী ক্লাবটির জন্য। এমনকি ১৭ বা তার বেশি ম্যাচ খেলার পর আর কখনো শীর্ষেও উঠতে পারেনি তারা। মৌসুমের এ পর্যায়ে এসে ফার্গি পরবর্তী ৭ মৌসুমে ম্যানইউর সর্বোচ্চ অর্জন ছিল দ্বিতীয় স্থান। তবে এবার এসে ফার্গির শীষ্য ওলে গুনার সোলশারের হাত ধরে ১৭ ম্যাচ পর শীর্ষে উঠল ‘রেড ডেভিল’রা। সেই সঙ্গে শিরোপা লড়াইও দারুণভাবে জমিয়ে দিল তারা। প্রতিপক্ষ বার্নলের মাঠে গতকাল রাতে ম্যানইউর জয় ১-০ গোলে।
তবে বার্নলের বিপক্ষে জিতলেও আত্মতুষ্ঠিতে ভোগার সুযোগ নেই ম্যানইউর। পরবর্তী লড়াইটা লিভারপুলের সঙ্গে। যাদের সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি। বাজেভাবে নতুন বছর শুরু করা লিভারপুল চীরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করতে ও মুখিয়ে থাকবে। তাছাড়া দু পক্ষের চিরকালীন মর্যাদার প্রশ্ন তো রয়েছেই। তাই অ্যানফিল্ডে রবিবার রাতের ম্যাচটি জেতার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে দু দল।
১৭ ম্যাচ শেষে ম্যানইউর পয়েন্ট এখন ৩৬, অন্যদিকে সমান ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৩। ঘরের মাঠে লিভারপুল জিতলে দু পক্ষের পয়েন্ট সমান হবে। কিন্তু গোল গড়ে এগিয়ে থেকে ফের শীর্ষে উঠার সুযোগ পাবে ‘অল রেড’রা।
এদিকে বার্নলের মাঠে মঙ্গলবার রাতে আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে ছিল ম্যানইউ। কিন্তু প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করেও গোলের দেখা পেতে সময় লাগে ৭১ মিনিট পর্যন্ত । মার্কোস র্যাশফোর্ডের অ্যাসিস্টে গোল করেন ফরাসি তারকা পল পগবা।
শীর্ষে উঠে উচ্ছ্বসিত ম্যানইউ কোচ সোলশার বলেন, অবশ্যই আমি খুব তৃপ্ত। যখনই আপনি ৩ পয়েন্ট অর্জন করবেন আপনি আনন্দিত হবেন।