বিতর্কিত ছয়টি কেসের পর্যালোচনায় ফেসবুক ওভারসাইট বোর্ড

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০৩, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফেসবুকের ওভারসাইট বোর্ড প্রথম ব্যাচের কেসগুলো পর্যালোচনার জন্য বাছাই করেছে। যেখানে সব সিদ্ধান্তই জড়িত প্লাটফর্মটির দ্বারা ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট সরানোর সঙ্গে। খবর বিবিসি।

এখানে তারা স্তন ক্যান্সার নিয়ে করা পোস্টে নারীর স্তনের ছবি ব্যবহার করাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সে সঙ্গে আছে একটি মৃত শিশুর ছবি, যেখানে লেখা হয়েছিল, উইঘুরের মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করেছে, তার জন্য চীনের ওপর প্রতিশোধ যৌক্তিক কিনা।

বোর্ডটি বলছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অক্টোবর ২০২০ সাল থেকে পর্যালোচনার জন্য ২০০০ কনটেন্ট প্রস্তাব করেছে। বিচারিক কমিটি এখন জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে আগামী সাতদিনের মধ্যে এসব কেসের বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য। যদি এটি ফেসবুকের মূল ক্রিয়াকলাপকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বা খারিজ করে, তবে ফার্মটিকে অবশ্যই প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং তা মেনে চলতে হবে।

ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ওভারসাইট বোর্ডের সদস্য হেলে থরনিং-শমিটড বলেন, ফেসবুককে আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, যদি ফেসবুক কোনো কনটেন্ট নামিয়ে নিয়ে থাকে, তবে তাদের অবশ্যই তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি তাদের নির্দেশনা একই ধরনের কেসের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে।

হেলা বিবিসিকে বলেন, বিশ্বজুড়ে কেসগুলো সামনে এসেছে এবং ঘৃণা বাক্য, নগ্নতা, বিপজ্জনক সংগঠন এবং সহিংসতা সম্পর্কে ফেসবুকের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

নিজেদের সিদ্ধান্ত সবাইকে জানানোর জন্য কোনো তারিখ অবশ্য বোর্ড জানায়নি। কিন্তু ফেসবুক এর আগে বলেছিল, তারা আশা করছে কেসগুলোর পর্যালোচনা এবং কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের মাঝে শেষ হবে।

যে ছয়টি কেস এখানে রয়েছে সেগুলো হলো:

. মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের টুইটের স্ক্রিনশট। যেখানে তিনি বলেন, অতীতের গণহত্যার জন্য মুসলমানদের রাগান্বিত হওয়া এবং লাখো ফরাসি মানুষকে মেরে ফেলার অধিকার রয়েছে।

. একটি মৃত শিশুর ছবি। যেখানে বার্মিজ ভাষায় লেখা ছিল, কেন উইঘুরে মুসলমানদের প্রতি চীনের আচরণের জন্য প্রতিশোধ নেয়া হয়নি?

. আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর গির্জার ছবি। লেখা আছে, বাকু মূলত আর্মেনিয়ানদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সেই গির্জাগুলো কোথায় গেছে?

. ইনস্টাগ্রামের ছয়টি ছবি, যেখানে নারীর স্তনের ছবিও রয়েছে। যেখানে পর্তুগিজ ভাষায় স্তন ক্যান্সারের উপসর্গ লেখা আছে।

. নাজি জার্মানির প্রচার প্রধান জোসেফ গোয়েবলসের অভিযুক্ত মন্তব্য।

. কভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য হাইড্রোক্লোরোকুইন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিনের অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে ফ্রান্স সরকারের প্রত্যাখ্যান সম্পর্কিত একটি ভিডিও।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫