জোকার চরিত্রটির জন্য সেরা অভিনেতার অস্কার জিতেছেন জোকিন ফিলিপস। কিন্তু ম্যাংক-এর পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চারের মতে, টড ফিলিপসের জোকার সিনেমাটি মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের প্রতি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’।
ডেইলি টেলিগ্রাফের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে ফিঞ্চার কথা বলছিলেন বক্স অফিসে জোকারের সাফল্য নিয়ে। তিনি জোকারের এ সাফল্যে বিস্মিত হয়েছিলেন। তার মতে, বাণিজ্যিক লক্ষ্য রেখেই এ ছবি নির্মাণ করা হয়েছিল। তার কথায়, ‘স্টুডিওগুলো এমন কোনো ছবি নির্মাণ করতে চায় না, যেগুলো বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে না।’
তিনি আরো বলেন, তবে মাঝেমধ্যে অবশ্য ‘চ্যালেঞ্জিং’
বিষয়গুলো স্টুডিওর নজরে পড়ে যদি সে রকম কিছু আগে কখনো বাণিজ্যিক সফলতা পেয়ে থাকে।
ফিঞ্চারের মতে, দ্য ডার্ক নাইটের উদাহরণ না থাকলে জোকার নির্মাণ হয়তো হতো না। দ্য ডার্ক নাইটে সুপারহিরোর সাফল্য মার্টিন স্করসেসের ৭০ বা ৮০’র দশকে নির্মাণ করা ছবিগুলো দিয়ে প্রভাবিত জোকার নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করেছে।
ফিঞ্চার বলেন, জোকার চরিত্রটি মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’
করে বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নিয়েছে।
জোকারের জন্য জোকিন ফিলিপস সেরা অভিনেতার অস্কার পেলেও ছবিটি মুক্তির পর সমালোচনা হয়েছিল এই বলে যে ছবিটি মানসিক অসুস্থ মানুষদের হিংসাত্মক একটি স্টেরিওটাইপ তুলে ধরেছে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র আর্থার ফ্লেক একজন সাইকিয়াট্রিক রোগী, যিনি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করার পর সহিংস হয়ে ওঠে।
দ্য গার্ডিয়ানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যানাবেল ড্রিসকোল ও মিনা হুসাইন ছবিটিকে কেবল ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী বলেননি বরং ছবিটি মানসিক অসুস্থদের প্রতি ভয় ও কুসংস্কার উসকে দিচ্ছে বলেও মত দেন।
এসব মতের বিপরীতে নির্মাতা ও অ্যাক্টিভিস্ট জাস্টিন এডগার জোকার ছবিটির প্রশংসা করে বলেন, ‘মানসিকভাবে অসুস্থদের নিয়ে নির্মিত একটি ক্ল্যাসিক সিনেমা।’
তার মতে, ছবিটিতে এ অস্বাভাবিক মানুষদের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে এবং তাদের নিয়ে আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান