বিতরণযোগ্যতায় এগিয়ে মডার্না

প্রকাশ: নভেম্বর ১৯, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

মহামারী থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য সবার দৃষ্টি একটি কার্যকর ভ্যাকসিনের দিকে। সে লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এসেছে দারুণ দুটি সুসংবাদও। ফাইজারের পর আরেকটি শীর্ষস্থানীয় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি মডার্নাও জানিয়েছে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে সফলতার কথা। যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে শেয়ারবাজারের হিসাবে প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রার্থীর মতো একই ধরনের আকর্ষণ লাভ করার জন্য দ্বিতীয় প্রার্থীটিকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সংগ্রাম করতে হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ফাইজারের প্রস্তাবিত ভ্যাকসিনটির সঙ্গে মডার্নার সংস্করণটির মূল পার্থক্যগুলোও বেশ উল্লেখযোগ্য। মডার্না এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলেছে তা হলো, তাদের ভ্যাকসিন -২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং তারপর ফ্রিজের তাপমাত্রায় ৩০ দিন পর্যন্ত স্থির থাকবে। বিপরীতে ফাইজার ও বায়োএনটেক বলেছিল সংরক্ষণের জন্য -৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড প্রয়োজন হবে এবং প্রচলিত ফ্রিজগুলোতে স্থায়িত্বের মেয়াদ হবে পাঁচদিন। 

সহজ ও গতিময় বিতরণের ক্ষেত্রে এ পার্থক্যটি কেমন হতে পারে? সপ্তাহের? মাসের? বলা কঠিন। তবে শোর ক্যাপিটেল বিশ্লেষক ড. এডাম বার্কার নিশ্চিতভাবে সঠিক যে মডার্নার পণ্যটি গণভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে লজিস্টিকের ব্যবহারকে সহজ করতে পারে। তিনি বলেন, একটি ভ্যাকসিন আপনি যেমন চান তেমন কার্যকর হতে পারে কিন্তু যদি আপনি তা মানুষ পর্যন্ত নিতে চান তখন কার্যকারিতা শূন্যেও নেমে আসতে পারে।

পাশাপাশি এয়ারলাইন, ইভেন্ট ও সেবা দান এখানে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। যেখানে এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যে একটি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে ছয় মাস, এক বছর নাকি আরো বেশি লাগছে। 

ভ্যাকসিন বিতরণের প্রক্রিয়াটি এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে এবং যুক্তরাজ্য মডার্নার কেবল ৫০০ মিলিয়ন ডোজ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বৃহৎ চিত্রটি হচ্ছে, মার্কিন ফার্মটি ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক বিলিয়ন ডোজ বৈশ্বিকভাবে দেয়ার কথা বলছে। ফাইজার অনুমান করছে পরের বছর ১.৩ বিলিয়ন ডোজ দেয়ার ব্যাপারে (যেখানে আবার প্রতিজনের জন্য দুটি করে শট লাগবে)। এরপর আছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাটি, যার ফল আগামী মাসে পাওয়া যাবে এবং তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এক বিলিয়নের বেশি ডোজ তৈরি করা।

এদিকে গত সপ্তাহের সব সতর্কতা মডার্নার ভ্যাকসিনেও প্রয়োগ করা হয়েছে: পণ্যটির এখনো অনুমোদন বাকি আছে, আরো অনেক বেশি সুরক্ষা ডাটা প্রয়োজন এবং এটাও এখনো নিশ্চিত না যে কতদূর পর্যন্ত এটি সুরক্ষা দিতে পারবে। তাই ২০২১-এর ভি আকারের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারগুলো এখনো অনুমান করার সময় আসেনি। যদিও প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। 

দ্য গার্ডিয়ান


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫