সারা দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ জন, সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা হিসাবে যা গত ৫৬ দিনে সর্বোচ্চ। এ সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরো ১৭ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল প্রকাশিত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৮৯২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময়ের পর থেকে একটু কমতির দিকে থাকার পর সম্প্রতি তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শীতকাল এগিয়ে আসায় দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই এখন সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা আবার বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত গতকালের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১১৪টি পরীক্ষাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০টি। এ সময়ের মধ্যে আগের কিছুসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৫টি। এসব নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তকৃত ১ হাজার ৮৪২ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬ জন।
সে হিসেবে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৪ হাজার ৯০২টি। অন্যদিকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশে। এর মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৮৯১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৮ জন। সে হিসেবে মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১। ফলে শনাক্ত বিবেচনায় মৃতের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশে।
এ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ও নারী যথাক্রমে ১৪ ও তিনজন। তাদের মধ্যে ১৪ জনেরই বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এছাড়া ৫১-৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন ও ৪১-৫০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের এবং একজন করে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা রয়েছেন। তাদের সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার ১২৯ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৪৪ জনের। সংক্রমণ শনাক্তের বৈশ্বিক তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।