উৎসবের মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত

প্রকাশ: নভেম্বর ০১, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

উৎসবের মৌসুমে ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ রয়েছে সীমিত। বাড়তির পথে রয়েছে পণ্যটির দাম। পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে পণ্যটির অন্যতম শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারত। দেশটির মিনিস্টার অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স পীযূষ গয়াল তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পীযূষ গয়াল বলেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে সাত হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। দীপাবলির আগে আরো ২৫ হাজার টন আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসবে।

তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এবার ভালো রকমের সংকটে পড়তে হয়েছে। রফতানি সাময়িক বন্ধ করে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরও বিভিন্ন রাজ্যে পেঁয়াজের দাম কমানো সম্ভব হয়নি। কেননা চাহিদার তুলনায় এখনো পেঁয়াজ সরবরাহ কম রয়েছে। চলতি উৎসবের মৌসুমে নিত্যপণ্যটির চাহিদা আরো বেড়েছে। পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে দীপাবলির আগে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। মূলত মিসর, আফগানিস্তান তুরস্ক থেকে পর্যায়ক্রমে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখা, আমদানি বাড়ানোসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পীযূষ গয়াল বলেন, এসব উদ্যোগের সুফল মিলতে শুরু করেছে। টানা কয়েক দিন কেজিপ্রতি ৬৫ রুপির (ভারতীয় মুদ্রা) বেশি বাড়েনি পেঁয়াজের দাম।

এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে আলুর ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে তত্পর হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য পণ্যটি আমদানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি বেসরকারি পর্যায়ে ভুটান থেকে ৩০ হাজার টন আলু আমদানি করেছেন ভারতীয় আমদানিকারকরা। কয়েক দিনের মধ্যে আমদানি করা এসব আলু ভারতে পৌঁছবে। তিনদিন ধরে ভারতের বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৪২ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আলু বাজারে এলে দাম কমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫