কিছু ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এসব বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে কোনো ফান্ডের অর্থ যাতে ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করা না হয় সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। তিনি গতকাল পারসোনাল ফাইন্যান্স বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল আমার টাকার উদ্বোধন ও আর্থিক স্বাক্ষরতাসংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমার টাকার সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের যেসব বিনিয়োগকারী হিসাব-নিকাশ তেমন বোঝেন না, বাজারের বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা কম, তাদের শেয়ারের পরিবর্তে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত। বর্তমানে দেশের মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ১০ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কোনো কোনো ফান্ড অনেক ভালো করছে। ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের চেয়ে এখানে রিটার্ন অনেক লাভজনক। বর্তমানে ব্যাংক আমানতে ৫-৬ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। মূল্যস্ফীতি বাদ দিলে কিছুই থাকে না। এসব বিবেচনায় মিউচুয়াল ফান্ড এবং কিছু কিছু শেয়ার অনেক লাভজনক। বিকল্প বিনিয়োগের খাত হিসেবে বন্ডকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সুকুক বন্ড আনার চেষ্টা করছি। আমি দায়িত্বে আসার আগে ৩ লাখ কোটি টাকার বাজার মূলধন ছিল। এখন ৪ লাখ কোটি টাকার মতো হয়েছে। আমরা এটাকে আরো বড় দেখতে চাই। প্রাণ গ্রুপসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ডে বিদেশীরা বিনিয়োগ করেছে। এক্ষেত্রে বীমা খাত বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে বীমা কোম্পানিগুলো বন্ডের বীমা করতে পারে কিনা সেটি বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানান।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা বীমা কোম্পানিগুলোর খরচ কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আগের কোম্পানিগুলো ৬৫-৭০ শতাংশ খরচ করত। আমরা এটি কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে সাম্প্রতিক সময়ে বীমা কোম্পানির শেয়ারে বড় ধরনের প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।