পিছিয়ে গেল মোবাইল থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কার্যক্রম

প্রকাশ: অক্টোবর ২৮, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারিগরি ত্রুটির কারণে ব্যাংক হিসাব থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। গতকাল থেকে লেনদেন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পেছানো হয়েছে। ব্যাংক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঠিক কবে লেনদেন চালু হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতি মঙ্গলবার থেকে চালু হবে।  পদ্ধতি চালুর ফলে ব্যাংক থেকেও সব মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় টাকা পাঠানো যাবে। আবার বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ ইউক্যাশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা লেনদেন করতে পারবে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ব্যাংকের মধ্যে আন্তঃলেনদেনকে ইন্টারঅপারেবল বলে আখ্যা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বেশ কিছুদিন থেকে আন্তঃলেনদেনের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চলে আসছিল।

আন্তঃলেনদেন কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, শেষ মুহূর্তে কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় ব্যাংক হিসাব থেকে মোবাইলে এবং মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। লেনদেনের পদ্ধতি ঠিক কখন চালু করা সম্ভব হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে ইন্টারঅপারেবল লেনদেনের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এতে বলা হয়, লেনদেন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে এক এমএফএস হিসাব থেকে অন্য এমএফএস হিসাবে, এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে এবং ব্যাংক হিসাব থেকে এমএফএস হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভিন্ন হারে ইন্টারচেঞ্জ ফি প্রযোজ্য হবে।

এক এমএফএস প্রোভাইডারের হিসাব থেকে অন্য এমএফএস প্রোভাইডারের (পি-টু-পি) হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রাপক এমএফএস প্রোভাইডার প্রেরক এমএফএস প্রোভাইডারকে সাকল্যে লেনদেনকৃত অর্থের শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ ফি প্রদান করবে। অর্থাৎ বিকাশ থেকে যদি রকেটে হাজার টাকা স্থানান্তর হয়, তাহলে রকেট বিকাশকে টাকা ফি দেবে।

আর ব্যাংক হিসাব থেকে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের উভয় ক্ষেত্রেই এমএফএস প্রোভাইডার সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে সাকল্যে লেনদেনকৃত অর্থের শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ ফি প্রদান করবে। অর্থাৎ কোনো ব্যাংকের হিসাব থেকে রকেটে কিংবা রকেট থেকে অন্য কোনো ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হলে হাজার টাকায় সাড়ে টাকা প্রেরক প্রতিষ্ঠানকে ফি দেবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইন্টারঅপারেবল লেনদেনের জন্য অংশগ্রহণকারী ব্যাংক এমএফএস গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যমান লেনদেন ফির অতিরিক্ত কোনো চার্জ ধার্য করতে পারবে না। ইন্টারঅপারেবল ব্যবস্থায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা এমএফএস হিসাবের প্রকরণ অনুসারে নির্ধারিত লেনদেন সীমা প্রযোজ্য হবে। আপাতত যেসব ব্যাংক মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান আন্তঃলেনদেন প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে শেষ করেছে তারাই সেবা চালু করতে পারবে। আর যেসব ব্যাংক এমএফএস এখনো আন্তঃলেনদেন সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি, তাদের সেবা চালু করতে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫