কতজন কভিডের ভ্যাকসিন নেবেন?

প্রকাশ: অক্টোবর ২৫, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুনিয়ায় এখন মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের। কবে ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে? সেগুলো যথার্থ কার্যকর হবে কিনা? আবার ভ্যাকসিন সবাই পাবে কিনাএমনতর অনেক প্রশ্নই এখন মানুষের মনে।

কিন্তু ওপরের প্রশ্নগুলোর চেয়েও বড় চমকদার একটি প্রশ্ন আছে। মহামারীর ত্রাসের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবার মনে হতে পারে ভ্যাকসিন এলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়বে তা নেয়ার জন্য। কিন্তু এমনটা যদি ভেবে থাকেন তাহলে সত্যিই চমকে দেয়ার মতো তথ্য অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

মহামারী আসার আগেই বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ হুমকি বিবেচনা করা হতো ভ্যাকসিন নিতে মানুষের অনীহা কিংবা ভ্যাকসিন হেজিটেন্সিকে। কভিডের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাবে এবং সম্প্রতি এক গবেষণায় সমস্যাটির গভীরতা উঠে এসেছে।

১৯ দেশের ১৩ হাজার মানুষকে নিয়ে একটি বৈশ্বিক জরিপ চালানো হয়েছিল জুন মাসে। বেশির ভাগই জানিয়েছেন, কার্যকর নিরাপদ প্রমাণিত হলে তারা কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। কিন্তু সমান্তরালে খারাপ খবরটি হচ্ছে যে এই ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করে জরিপে অংশ নেয়া ৭১ দশমিক শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ প্রতি তিনজনে একজন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে আগ্রহী নন।

এছাড়া যে ১৯টি দেশে জরিপটি চালানো হয়েছে সেগুলো কভিড-১৯ দিয়ে সবচেয়ে খারাপভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। তার মানে সেখানে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানেও তিনজনে একজন ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না।

গবেষকরা বলছেন, হিসেবে দুনিয়াতে কয়েক কোটি মানুষ ভ্যাকসিন নেবে না। তবে হিসাবটি নিশ্চিত কোনো সংখ্যা নয়, কারণ ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের সিদ্ধান্ত অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। এবং সেগুলো সময়ে সময়ে বদলে যায়।

আবার দেশভেদে ভ্যাকসিন গ্রহণের ইচ্ছার তারতম্য দেখা যায়। চীনে মানুষের ভ্যাকসিন গ্রহণের ইতিবাচক মনোভাব সবচেয়ে বেশি। দেশটির ৮৮ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নেবে। ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে কম রাশিয়ায়। দেশটিতে মাত্র ৫৫ শতাংশ মানুষ ভ্যকসিন নিতে চায়। ভ্যাকসিন নিয়ে সবচেয়ে নেতিবাচক মনোভাব ধারণ করে পোল্যান্ডের মানুষ। দেশটিতে ২৭ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনবিরোধী।

সাধারণভাবে ভালো আয়, শিক্ষার সুযোগ আছে যাদের তারা বেশি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে আগ্রহী। আবার পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি ভ্যাকসিন নেয়।

যেসব দেশের জনগণ তাদের সরকারের প্রতি আস্থাশীল সেখানে ভ্যাকসিন অ্যাকসেপ্টেন্সি বেশি। এখানে আরেকটি বিষয় তাত্পর্যপূর্ণ। জরিপে দেখা গেছে প্রায় সব উত্তরদাতা, তা তিনি যে দেশেরই হোন না কেন ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন না, যদি সেটা তার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রহণ করাটা বাধ্যতামূলক করা না হয়। সংশ্লিষ্ট গবেষক ইউনিভার্সিটি অব বার্সেলোনার সংক্রামক রোগ গবেষক জেফ্রি ল্যাজারাস বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

সায়েন্স অ্যালার্ট


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫