‘হাসির পাত্র’

প্রকাশ: অক্টোবর ২১, ২০২০

ফিচার প্রতিবেদক

জহির একজন বিখ্যাত কমেডি অভিনেতা। তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চ দিয়ে। তুমুল ব্যস্ততায় মঞ্চের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটেছে ১০ বছর আগে। আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় সে জীবনে কোনো ব্রেক নিতে পারেনি। তবে এখন তার বয়স ৩৮। মাঝ বয়সে এসে তার আর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে না। আজকাল সে চেষ্টা করছে কিছু সিরিয়াস চরিত্রে কাজ করতে। কিন্তু তা কেউ দেখছে না। মিডিয়ার মানুষ ভেবেই নিয়েছে সে অন্যকিছু পারে না। দর্শক তাকে হাসির পাত্র হিসেবেই চায়। কিন্তু সে কিসে হাসবে তা কেউ জানতে চায় না।

ধীরে ধীরে অদ্ভুত এক বিষাদ গ্রাস করতে থাকে জহিরকে। জহিরের বান্ধবী সহশিল্পী রিনি। তারা কিছুদিন পর বিয়ে করবে। রিনি জহিরকে তার মন যা চায় তাই করতে বলে। কিন্তু জহির চাইলেও তা পারছে না। একদিন এক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। জন্মদিন উপলক্ষে জহির বাড়িতে পার্টি ডাকে। যেখানে তার প্রডিউসার, ডিরেক্টরসহ অভিনেতারা সবাই আসে। সবাই যখন পাটিতে মগ্ন। হুট করে সিঁড়ি থেকে কিছু একটা পড়ার আওয়াজ পায়। ছুটে গিয়ে সবাই দেখে জহির সেখানে পড়ে আছে। মাথায় চোট লেগেছে। কয়েকদিন হসপিটালে কাটিয়ে জহির অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। সবাই ভয় পেতে থাকে। বড় বড় নিউজ পেপারে ছাপা হয়। জহিরের বাড়িতেই বিশেষ চিকিৎসা শুরু হয়। কান্না পায় রিনির, কারণ জহিরের সুস্থ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। সবাই যখন দেখা করতে এসে জহিরকে বিভিন্ন সান্ত্বনা দেয় জহির হাসে, যে হাসি সে গত ১৫ বছরে হাসেনি। ক্রমেই হতাশ হতে থাকে রিনি...

জহিরের জীবনের এমন গল্প নিয়ে নির্মিত টেলিফিল্ম হাসির পাত্র মাসুম শাহরিয়ারের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। এতে অভিনয় করেছেন মোশারফ করিম, তিশা, শেখ মাহবুবুর রচমান, চাষী আলম, আশরাফুল আশীষ, ইমাদ ওয়াসেফ, মনিষা প্রকৃতি প্রমুখ। শেষ পর্যন্ত জহিরের জীবনে কী ঘটে তা দেখা যাবে আজ বেলা ৩টা মিনিটে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫