‘আমরা আর হিরো নই, এটা নিউ নরমাল’

প্রকাশ: অক্টোবর ২০, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

পৃথিবীতে করোনাভাইরাস মহামারী আঘাত হানার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে। প্রথম দিকের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে বিশ্ব। কিছু ওষুধপত্র কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে চিকিৎসকরাও এখন অনেক অভিজ্ঞ। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রথম ঝড় কাটিয়ে উঠে অনেক দেশ দ্বিতীয় ঝড়ের কবলে পড়েছে। আসন্ন শীতও সংক্রমণ বৃদ্ধির চোখরাঙানি দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতি নিয়েই নোট লিখেছেন দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড রয়্যাল ইনফার্মারি হাসপাতালের ডা. জন রাইট বলেন, নির্জন করিডর, ক্রেতাহীন দোকান কফি বারসহ আমাদের হাসপাতাল এখনো দর্শনার্থীদের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যদিকে ওয়ার্ডগুলো এখন প্রচুর ব্যস্ত এবং দুর্ঘটনা জরুরি বিভাগ প্রতিদিন ৪০০ জন রোগী নিয়ে প্রাক-মহামারী কার্যকলাপে ফিরে গেছে। হাসপাতালে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ আইসিইউ ১০ জনে স্থিতিশীল রয়েছে। পরিস্থিতির সঙ্গে সংক্রমণের প্রথম ঝড় এপ্রিলের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে এখন আমরা আমাদের সব পরিষেবা যতটা পারি চালু রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, এপ্রিলের তুলনায় এখন আমরা খুব ভালোভাবে জানি যে আমরা কী করছি। বর্তমানে চিকিৎসা আরো ভালো এবং দক্ষতা অন্তর্দৃষ্টি সহানুভূতিসহ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। পিপিইস্বল্পতার মতো বিশৃঙ্খল অবস্থাও এখন নেই। পাশাপাশি আরো একটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা আর সামনের সারির নায়ক নই, এটা নিউ নরমাল।

রেসপিরেটরি মেডিসিনের চিকিৎসক পল হুইটেকার বলেন, বসন্তে চ্যালেঞ্জের অনুভূতি ছিল এবং সবাই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করেছে। কিন্তু এখন আমরা এক ধরনের যুদ্ধের ক্লান্তি দেখছি। সুতরাং আমি মনে করি, এটা একটা কঠিন সময়। কারণ আমি ধারণা করি মহামারীটি শীত আগামী বসন্তসহ পুরো ছয় মাস ধরে চলবে। তাই এটা মানুষের সংকল্প ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে।

তিনি অন্য একটি প্রধান চ্যালেঞ্জের কথাও বলেছেন। সেটা হলো হাসপাতালে রেড জোনের বাইরে রোগীদের নিরাপদ রাখা। আমরা এখন কার্যকরভাবে দুটি হাসপাতাল চালাচ্ছিরেড জোন গ্রিন জোন। রেড জোন হলো কভিড আক্রান্ত এবং গ্রিন জোন হলো কভিড ছাড়া অন্যান্য রোগী। আমরা জানি যে একটি থেকে অন্যটিতে সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

তিনি বলেন, কিন্তু এখন গ্রিন জোন অনেক ব্যস্ত হয়ে উঠছে। কভিড নন-কভিড রোগীর চাপ বাড়ছে। অথচ বসন্তে নন-কভিড রোগীর চাপ ছিল না। কোনো কারণে তারা হাসপাতাল থেকে দূরে ছিল। এখন আমরা অনেক রোগী পাচ্ছি, যারা কভিড সংক্রমিত না, তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যদিও বছরের সময়ে এসে এটা সাধারণ ঘটনা। এবার কভিড ফ্লু একসঙ্গে আক্রমণের শঙ্কাও আছে।

বিবিসি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫