আন্তর্জাতিক ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বিশ্বের অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা গোলাপি আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। বাংলাদেশেও এটির ব্যতিক্রম নয়। দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে ফ্রেশ টিস্যু। রাজধানীর বনানী, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গোলাপি আলোকসজ্জা করে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে শুধু আলোকসজ্জায় থেমে নেই ফ্রেশ টিস্যু। পাশাপাশি ‘ফ্রেশ টিস্যু: একটি চেকআপ আর দেরি নয়, মুছতে গ্লানি, এখনই সময়’
এ স্লোগান সামনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে বেশ কিছু সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন চিত্রও। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের নারীদের নিয়মিত ব্রেস্ট ক্যান্সারের মেডিকেল চেকআপে উৎসাহী করা এবং এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে জানানো।
বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করছেন ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে, যা বছরে প্রায় সাত হাজারের কাছাকাছি। অথচ প্রাথমিক পর্যায়েই চিহ্নিত করতে পারলে এ রোগে নিরাময়ের হার শতকরা ৯০ ভাগ পর্যন্ত। এ রোগের ভয়াবহতার একটি মূল কারণ হচ্ছে এ সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষের অসচেতনতা। অথচ বছরে অন্তত একবার ব্রেস্ট ক্যান্সারের মেডিকেল চেকআপ করালেই নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকাংশেই।
সাধারণ মানুষকে এ আচরণে উৎসাহিত করার জন্য ফ্রেশ টিস্যু একই সঙ্গে দেশের আটটি বিভাগীয় সদরে আয়োজন করেছে মাসব্যাপী একটি মেডিকেল ক্যাম্পেইন। সেখান থেকে এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী এক হাজার নারী পাবেন ব্রেস্ট ক্যান্সারের ফ্রি প্রাইমারি চেকআপ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিস। ফ্রেশ টিস্যুর ফেসবুক পেজে গেলেই ক্যাম্পেইনে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করার লিংক পাওয়া যাবে। এছাড়া ফ্রেশ টিস্যু .িসঁপযযবলধধশমষধহর.পড়স নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কিত সব প্রাথমিক তথ্য একসঙ্গে রাখা হয়েছে। এছাড়া সেলিব্রিটিদের দিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে ফ্রেশ টিস্যু।