বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সলিডারিটি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন ৩০ দেশের গবেষক। তারা সবাই করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভির, এএইচসিকিউ (হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন), লোপিনাভির, ইন্টারফেরনের কার্যকারিতার ব্যাপারে নেতিবাচক ফলাফল জানিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ে মাল্টি কান্ট্রি সলিডারিটি ট্রায়ালে উপসংহার টানা হয়েছে এই বলে যে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডিসিভির, এএইচসিকিউ, লোপিনাভির, ইন্টারফেরনের কোনো উপকারিতা নেই।
গবেষণার প্রতিবেদন বর্তমানে প্রি-প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ট্রায়ালের প্রাথমিক কয়েক মাস পরই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভিরকে বাদ দেয়া হয়।
সলিডারিটি ট্রায়ালের গবেষকরা প্রি-প্রিন্টে রিপোর্ট করেছেন, ‘রেমডিসিভির, এএইচসিকিউ (হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন), লোপিনাভির,
ইন্টারফেরন হাসপাতালে ভর্তি কভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব রাখে না। মৃত্যুহার, ভেন্টিলেশন, হাসপাতালে অবস্থানে সময়কাল—কোনো কিছুর ওপরই এসব ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই।
এ ট্রায়াল বর্তমানে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা বিষয়ে পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিকিৎসা হিসেবে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেয়া হয়।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ রিসার্চ ফোরাম বড় আকারে র্যানডম ট্রায়ালের মাধ্যমে বিভিন্ন ওষুধের ভূমিকা মূল্যায়নের জন্য সুপারিশ করে। শেষমেশ মূল্যায়নে আলোচ্য চারটি ওষুধের ব্যাপারেই বিশেষজ্ঞরা নেতিবাচক রায় দিয়েছেন।
সলিডারিটি ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এ বছরের মার্চ মাসে। ৩০টি দেশের ৪০৫টি হাসপাতালকে এ ট্রায়ালের অধীনে আনা হয়। ট্রায়ালে ১১ হাজার ২৬৬ জন প্রাপ্তবয়স্ককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ২৭৫০ জনকে শুধু রেমডিসিভির, ৯৫৪ জনকে এএইচসিকিউ, ১৪১১ জনকে লোপিনাভির, ৬৫১ জনকে ইন্টারফেরন ও লোপিনাভির এবং ১৪১২ জনকে ইন্টারফেরন দেয়া হয়। আর ৪০৮৮ জনকে কোনো ওষুধ দেয়া হয়নি।
দ্য প্রিন্ট