রংপুরে কেরোসিন ঢেলে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অন্য আসামি হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ উভয়কে ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর আগে সংঘটিত ওই হত্যা মামলার ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে রায় ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর রংপুর নগরীর মন্থনা এলাকায় স্বামী মোশারফ হোসেন যৌতুকের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তার দাদা শ্বশুর হবিবর রহমান মর্জিনাকে জোরপূর্বক আটকে রাখেন। মর্জিনার আহাজারি শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করায়। এ সময় পুলিশ ও চিকিৎসকদের কাছে স্বামী ও দাদা শ্বশুর কর্তৃক কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কথা জানান মর্জিনা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে স্বামী মোশাররফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও সহযোগী দাদা শ্বশুর হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ উভয়কে ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। একই সঙ্গে স্বামী মোশাররফ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোক পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।