প্রযুক্তিগত সমস্যায় ব্রিটেনের টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেম

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেমে কাজ করার জন্য নির্বাচিত হওয়া কয়েক হাজার সদস্যের মধ্যে বিবিসির প্রাক্তন সাংবাদিক অ্যালেক্স লি একজন। তাদের স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। অ্যালেক্সকে ক্লিনিক্যাল কন্ট্যাক্ট কেসওয়ার্কার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তার কাজ ছিল কভিড-১৯ পজিটিভ পরীক্ষা করা মানুষদের ফোন করে স্ববিচ্ছিন্ন থাকতে অনুরোধ করা এবং তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হওয়া ব্যক্তিদের বিশদ বিবরণ সংগ্রহ করা।

কিন্তু পরিষেবাটিতে চার মাস কাজের সময়ে কভিড-১৯ পজিটিভ পরীক্ষা করা তিনি কেবল একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। যদিও অ্যালেক্সের অভিজ্ঞতাটি অনন্য ছিল না। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেমে কাজ করা টবিন স্টোনলেকের অভিজ্ঞতাটিও একই রকমের। ১০ সপ্তাহে তিনি একটিও সফল কল করতে পারেননি।

ইংল্যান্ড টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস পরিষেবায় কাজের জন্য ২০ হাজারেরও বেশি সেনা নিয়োগ করেছিল। তবে শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল যে কারো খুবই কম কাজ বা কারো কারো কোনো কাজই ছিল না। একটি ফেসবুক গ্রুপে অন্যান্য ক্লিনিক্যাল কেসওয়ার্কারদের একই ধরনের অভিযোগ তুলে ধরেছিল। যদিও গ্রুপটি পরবর্তী সময় বন্ধ হয়ে যায়।

পরিষেবাটিতে কাজ করার সময় তারা মূলত সিস্টেম ত্রুটির মুখোমুখি হয়েছিলেন, যা তাদের লগইন করা, শিফট বুক করা এবং আক্রান্তদের অনুসরণ করতে বাধা দেয়। অ্যালেক্স নিয়মিত দলের নেতাদের ফোন করে সমস্যাটির কথা জানিয়েছেন। দলনেতাদের জানানো হয়েছিল, বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সমস্যাটি মাসেও অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, সিস্টেমের মাধ্যমে কভিড-১৯ পজিটিভ পরীক্ষা করা পাঁচজনের মধ্যে একজনের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বিবিসি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫