আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মীকে আগাম অবসরে পাঠানোর কথা ভাবছে মিত্সুবিশি। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে বিক্রিতে পতনের জেরে পুনর্গঠনমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জাপানের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি। বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর কিয়োদো।
সার্বিক ব্যয় ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গত জুলাইয়ের মধ্যমেয়াদি ব্যবসায় পরিকল্পনায় শ্রমব্যয় কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল মিত্সুবিশি। ব্যবস্থাপক পদসহ যেসব কর্মীর বয়স ৪৫ বা তার বেশি, তাদেরকে আগাম অবসরে পাঠানো হতে পারে। কোম্পানিটির টোকিওর প্রধান কার্যালয় ও আইচি এবং ওকাইয়ামা প্রিফ্যাকচারের কারখানাগুলোর কর্মীরা তার আওতাভুক্ত হবেন বলে জানায় সূত্রগুলো।
গত মার্চ নাগাদ মিত্সুবিশির মোট কর্মী ছিল ১৪ হাজারের মতো। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নিশান ও রেনোঁর সঙ্গে একটি ত্রিমুখী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছিল মিত্সুবিশি।
গত জুলাইয়ে মিত্সুবিশির স্থানীয় গাড়ি নির্মাণ পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের তুলনায় ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। জাপানের আটটি শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির মধ্যে এটা সর্বোচ্চ পতন। আগামী মার্চে শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবছরে ৩৬ হাজার কোটি ইয়েন বা ৩৪০ কোটি ডলার নিট লোকসান গুনতে পারে মিত্সুবিশি।
লাভে ফিরতে মরিয়া কোম্পানিটি ত্রিমুখী জোটের মাধ্যমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বাজারে শক্ত অবস্থান নিতে চাইছে। একই সঙ্গে পাজেরো এসইউভি নির্মাণ বন্ধ রেখেছে মিত্সুবিশি।