ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর ‘হয়রানি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে আমি খুব বেশি মর্ম বেদনায় আছি যে, আমাদের ভিপি নুর... সে যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে। তাই বলেতো তাকে হয়রানি করা যাবে না। ছাত্ররাজনীতির একটা প্রসেশন করে, তাকে আপনি বের হতে দেবেন না, এটা হয় না। জনগণকেও বের হতে দিচ্ছেন না, এজন্য দেশ নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার হয়রানি এবং সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে দুর্নীতি কোথায় নেই? শিক্ষা বিভাগের ডিজি (মহাপরিচালক) সাহেবও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, একটা ড্রাইভারও অভিযুক্ত। অপরদিকে, শিক্ষিত মানুষ, উপাচার্য মহোদয়, ওনার চাকরি হলো রংপুরে, উনি থাকেন ঢাকায়। এটা কি দুর্নীতি না? কেন তাদের ঢাকা শহরে থাকতে হবে? এজন্য আজকে আমি আপনাদের সামনে এসেছি। খোলা মনে আমাদের সাহসের সাথে এই আলাপগুলো করতে হবে। তা না হলে আমাদের সামনে দুর্দিন আসছে।’
কোথাও কোন বিষয় নিয়ে ‘আলাপ’ করা হচ্ছে না উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার বাড়ছে- এসব নিয়ে কোথাও কোন আলাপ হচ্ছে না। এমনকি আপনার দলের মধ্যেও আমরাতো দেখি না যে, আপনি রাজনীতিবিদ, আপনারা রাজনীতি দিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেন। আপনার কিসের ভয়? ঘরের মধ্যে বন্দী থাইকেন না। খালেদা জিয়া অন্যায় করেছে, টাকার হিসাব দেয়নি, তাকে জেলে দিয়েছেন ঠিক আছে। উনি এক জেলে আছেন, আপনি আরেক জেলে আছেন। তাহলে দেশটা চলবে কী করে? আজকে আমাদের, বিশেষ করে সুশীল সমাজ, সাধারণ জনগণ, রাস্তায় নেমে উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হবে। আমি উন্মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে মস্তিষ্ক কাজ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আবেদন করছি, আপনারা ভিপি নুরকে আর হয়রানি করবেন না, হয়রানি বন্ধ করেন। সেই হয়রানি আপনি আমাদেরও করেছেন। এখনো বিদ্যমান রয়েছে। এখনও আমার মামলা চলছে, আমি মাছ চুরি করেছি! কয়টা মাছ খেতে পারি আমি? সুতরাং এই জিনিসগুলি বন্ধ করেন। বন্ধ না করলে দেশের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকে যাচ্ছে।’