দীর্ঘমেয়াদি অবসাদে আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি কভিড রোগী

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯- আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি রোগী সুস্থ হওয়ার দীর্ঘদিন পরও অবসাদ বা ক্লান্তিতে ভুগছে। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী হাসপাতাল কর্মীদের ওপর চালানো একটি নতুন সমীক্ষার পর তথ্য প্রকাশ করেছে আইরিশ একটি হাসপাতাল। শুক্রবার সমীক্ষাটি প্রকাশের পর কভিড-১৯-এর মাঝারি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর বিষয়ে আরো গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।

ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের সেন্ট জেমস হসপিটাল অ্যান্ড ট্রিনিটি ট্রান্সন্যাশনাল মেডিসিন ইনস্টিটিউটের গবেষক লিয়াম টাউনসেন্ড বলেছেন, কভিড-১৯-এর লক্ষণগুলো সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হলেও সংক্রমণের মাঝারি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলো অজানা রয়ে গেছে।

সেন্ট জেমস হাসপাতালের ওই সমীক্ষাটিতে ১২৮ জন অংশ নেয়। সংক্রমণ থেকে ক্লিনিক্যালি সেরে ওঠার ১০ সপ্তাহ পরও ৫২ শতাংশ রোগী অবসাদের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। প্রাথমিক সমীক্ষাটি এখনো পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭১ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিল এবং হালকা অসুস্থ বোধ করা ৫৭ জন হাসপাতালটির কর্মী ছিল। তারা সবাই কভিড-১৯ পজিটিভ পরীক্ষা করেছিল।

গবেষকরা প্রাথমিক অসুস্থতার তীব্রতা হতাশাসহ প্রাক-বিদ্যমান অবস্থার দিকে নজর দিয়েছিলেন। তারা দেখতে পান দীর্ঘমেয়াদি অবসাদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া না হওয়াদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এদিকে পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অবসাদে ভোগার হার বেশি পেয়েছেন গবেষকরা। সমীক্ষাটিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ নারী হলেও তাদের দীর্ঘমেয়াদি অবসাদের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। আবার যাদের আগের উদ্বেগ বা হতাশা ছিল, তাদের অবসাদের আশঙ্কাও বেশি ছিল।

সমীক্ষাটির লেখকরা বলেছেন, অনুসন্ধানগুলো প্রমাণ করে যে কভিড-১৯ রোগীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আরো কাজ করা দরকার।

মাসের শেষে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ কনফারেন্স অন করোনাভাইরাস ডিজিজ সম্মেলনে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হবে। মহামারীটি বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বেশির ভাগ মনোযোগ এটাতে আক্রান্ত মৃত্যুর মতো তাত্ক্ষণিক প্রভাবের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। তবে এটা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ভাইরাসটি থেকে কোনো রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার দীর্ঘদিন পরও এর প্রভাব অনুভব করতে পারে।

গত জুলাইয়ে ইতালির হাসপাতাল থেকে সেরে ওঠা কভিড-১৯ রোগীদের ওপর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অসুস্থ হওয়ার ৬০ দিন পরও ৮৭ শতাংশ রোগী অন্তত একটি উপসর্গে ভুগছিল। তাদের মধ্যে অবসাদ শ্বাসকষ্ট সবচেয়ে সাধারণ ছিল।

গবেষণাটির বিষয়ে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল হেড বলেছেন, আমরা কভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলোর প্রমাণ পাচ্ছি। সেগুলোর মধ্যে অবসাদ হলো একটি সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। গবেষণায় গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি হালকা লক্ষণ থাকা উভয়ের মধ্যেই অবসাদের লক্ষণ ছিল।

সায়েন্স অ্যালার্ট


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫