পাম অয়েল

২০ দিনে সোয়া ১০ লাখ টনের বেশি রফতানি মালয়েশিয়ার

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। মাসের প্রথম ২০ দিনে (-২০ সেপ্টম্বর) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সোয়া ১০ লাখ টনের বেশি পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাতের চাঙ্গা ভাবের প্রভাব পড়েছে বাজারে। টানা পাঁচ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকালও দেশটিতে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে। ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারির মধ্যভাগের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দামে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে মালয়েশিয়ায়। খবর স্টার অনলাইন রয়টার্স।

পণ্যবাহী কার্গো পরিবহনের বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেক টেস্টিং সার্ভিসেসের একটি প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের -২০ সেপ্টেম্বর সময়ে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৪১ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে মালয়েশিয়া থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে দশমিক শতাংশ।

কয়েকদিন ধরে মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের দাম চাঙ্গা রয়েছে। রফতানি বৃদ্ধির খবর গতকাল পণ্যটির দাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সময় বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে পাম অয়েলের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে দেশটির বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম দাঁড়িয়েছে হাজার ৮৮ রিঙ্গিতে (মালয়েশীয় মুদ্রা) গত ১৩ জানুয়ারির পর এটাই মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের সর্বোচ্চ দাম। নিয়ে টানা পাঁচদিন ধরে মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে পাম অয়েলের দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে।

পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মালয়েশীয় পাম অয়েলের দামে। দ্বিতীয়ত, মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। তৃতীয়ত, ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাতও আগের তুলনায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। মূলত এসব কারণে টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে মালয়েশীয় পাম অয়েলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

চীনের ডালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে গতকাল ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। এখনকার বাজারে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ। মালয়েশিয়ার বাজারে পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধির এটা বড় একটি কারণ।

মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী রফতানিকারক দেশ। পণ্যটির উৎপাদনকারী রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। চলতি মাসে মালয়েশিয়া থেকে পণ্যটির রফতানিতে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে, এটা আমরা আগেই জেনেছি। একই চিত্র দেখা গেছে ইন্দোনেশিয়ায়ও। গত জুলাইয়ে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ৩১ লাখ ৩০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন। তথ্য মালয়েশীয় পাম অয়েলের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫