কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের অধিকাংশ স্থান বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে ট্রাকসহ ছোট-বড় যানবাহন প্রায়ই আটকা পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। এছাড়া বেহাল সড়কের কারণে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন ভয়াবহ দুর্ভোগের মাঝে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে ১ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে ৫-৬ ঘণ্টা। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোনো সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন যাতায়াতকারীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে জেলার লাকসাম উপজেলার মিশ্রী এলাকার একটি বড় গর্তে প্রতিদিনই বিভিন্ন গাড়ি আটকা পড়ে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে আরো অনেক যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একই চিত্র এ মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানে।
এ সড়কে যাতায়াতকারী গাড়ির চালক ও যাত্রীরা জানান, মহাসড়কে চার লেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এ সড়কের লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার, লাকসাম জংশনের মিশ্রী, জংশন ও বাইপাসসহ অন্তত ১২টি স্পটে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু গর্ত ভরাটে কিংবা স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাসচালক আনিছ মিয়া জানান, পাঁচ বছর ধরে এ সড়কের এমন বেহাল অবস্থা। প্রায় সময় গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে। সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
লাকসাম বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সড়কটির গর্ত ভরাট করে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। হাজারো মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে যেন তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, এ আঞ্চলিক মহাসড়কের চার লেনের কাজ চলছে। করোনা পরিস্থিতি ও কিছু সমস্যার কারণে কাজ এগোচ্ছে না। মহাসড়কের বেশকিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত ভরাট করে ভাঙা অংশে মেরামতের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। এতে সহসা ভোগান্তির অবসান হবে বলে আশা করছি।