দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২১ জন। ৪৬ দিনের মধ্যে মৃত্যুর এ সংখ্যা সবচেয়ে কম। এর আগে ১ আগস্ট দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর গত দেড় মাসে মৃতের সংখ্যা অধিকাংশ দিনই ত্রিশের বেশি ছিল। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১ হাজার ৬১৫ জন কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১। গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ২ হাজার ৩৭৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯-এ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৪টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৩৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৭০ হাজার ১০৬টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী পাঁচজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। সাতজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। ১০ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন করে মোট দুজন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের এবং চারজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৭৬০ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪২৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ২৮৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০, ১১০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০, ৪১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৪৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৩ জন চট্টগ্রাম, ৩২৪ জন রাজশাহী, ৪১০ জন খুলনা, ১৮০ জন বরিশাল, ২১৭ জন সিলেট, ২২৮ জন রংপুর ও ১০২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।