সংক্রমণের কয়েক মাস পরও শ্বাসকষ্ট-ক্লান্তি

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ সংক্রমণের পর পাঁচ মাস কেটে গেলেও লুসি গাহান এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেননি। ব্রিটেনের শ্রুসবারির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট গাহান তার কাজেও ফিরতে পারেননি। শ্বাসকষ্ট চলাকালীন তিনি হাত পায়ে অসাড়তা অনুভব করেন এবং তার হূত্স্পন্দন কমে যায়।

এপ্রিলের শুরুতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে দুই সন্তানের মা গাহান সপ্তাহে তিনবার দৌড়াতেন এবং নিয়মিত যোগব্যায়াম করতেন। তিনি বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে একজন, যারা ভাইরাসটিতে সংক্রমণের পর দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, মে জুনে আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। আমি কেবল বাড়ির ওই কোণ পর্যন্ত যেতে পারি। দৌড়ানোর বিষয়টি তো কখনো ভাবতেও পারি না। আমি একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং আমি জানি যে এটা উদ্বেগের বিষয় নয়। 

১৪ আগস্ট একটি প্রি-প্রিন্ট সার্ভারে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কভিড-১৯- আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রোগীর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের নর্থ ব্রিস্টল এনএইচএস ট্রাস্টের একাডেমিক রেসপিরেটরি ইউনিটের গবেষকরা ১১০ জন কভিড রোগীর ওপর জরিপ করেছেন। ৩০ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেয়া রোগীরা গড়ে পাঁচদিন হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতাল ছাড়ার ১২ সপ্তাহ পরও তাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ রোগীর শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ক্লান্তিসহ লক্ষণগুলো বিদ্যমান ছিল। তবে লক্ষণগুলো সত্ত্বেও রোগীদের রক্ত পরীক্ষায় ১০৪ জনের সাধারণ ফলাফল, কেবল ১২ শতাংশ রোগীর অস্বাভাবিক বুকের এক্স-রে এবং স্পিরোমেট্রি পরীক্ষায় ১০ শতাংশ রোগীর ফুসফুসের সীমাবদ্ধ কার্যকারিতা দেখা গেছে।

সিএনএন


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫