সিপিডির গবেষণা

বন্যা-মহামারীতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ পাননি

প্রকাশ: আগস্ট ২৫, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে ত্রানের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম৷ এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাব যাথাযথভাবে করা হয়নি৷ এমনকি যাচাই-বাছাই না করে ত্রাণ বিতরণের কারণে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হচ্ছেন। অনিয়ম পাওয়া গেছে বিতরণেও।

এমনটাই জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)৷

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘করোনা ও বন্যা মোকাবেলায় ত্রাণ কর্মসূচি: সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতা’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপের এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা আমির সাব্বিহ গবষেণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এই প্রতিবেদনেই ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। 

সিপিডি এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় ‘গণতান্ত্রিক সুশাসনে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। 

সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, ড. দীপঙ্কর দত্ত, আরডিআরএস বাংলাদেশের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো ফজলে রাব্বী মিয়া, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম, রংপুর জেলা জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান।

এই সংলাপে রংপুর অঞ্চলের কভিড-১৯ অতিমারী এবং বন্যা মোকাবেলায় বাস্তবায়িত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে আলোচনা হয় এবং সংলাপে রংপুরের কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, পেশাজীবী এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ রংপুর অঞ্চলের নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় ত্রাণ (চাল ও নগদ) বিতরণের ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা অনেক ক্ষেত্রেই ত্রাণ পায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরিচিত এমন লোকেরা বারবার সহায়তা পেয়েছেন। 

এছাড়া বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিতকরণ, চাহিদা নিরূপণের জন্য কোনো সরকারি ত্রাণ কর্মকর্তা সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং এলাকা পরিদর্শন করেননি।

 এই করোনাকালেই শুধু নয়, অন্য স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও তারা পরিদর্শন করেন না। দুর্গম চর এলাকায় পরিষদের চেয়ারম্যান যান না। 

স্বল্প দারিদ্র্যের অঞ্চলে অধিক সংখ্যক পরিবার এই সুবিধার আওতায় ছিল, যেমন- নীলফামারী, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ। আর কুড়িগ্রাম, জামালপুরের মতো উচ্চ দারিদ্র্যের অঞ্চলে কম সংখ্যক পরিবার এই সুবিধার আওতায় ছিল। 

যেসব এলাকায় বেশি সংখ্যক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যেমন- জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ) সেখানকার কম সংখ্যক পরিবার এই সুবিধার আওতায় ছিল। অন্যদিকে চাঁদপুর ও গোপালগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও ১০০ ভাগের বেশি পরিবার এই সুবিধার আওতায় ছিল।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫