দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে কিছুদিন ধরেই আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এর বিপরীতে তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল পেঁয়াজের দাম। তবে সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দামও। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল পাইকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ২১ টাকায় উঠেছে। স্থানীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ও বন্যা দেখা দেয়ায় বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ কমে দাম বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ফের পেঁয়াজের দাম কমে আসতে পারে।
গতকাল হিলির পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে ট্রাকসেলে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ২০-২১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একদিন আগেও আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১৭-১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে একদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩ টাকা। এমনকি হিলিতে এদিন খুচরা পর্যায়ে একেবারে সাধারণ মানের পেঁয়াজও ১৬-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
স্থানীয় আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়কপথে ও রেলযোগে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। ফলে ঈদের আগে ও পরে হিলির পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম খুব একটা বাড়েনি। ঈদের পরও এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল। দামও ছিল তুলনামূলক কম।
বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে রবিউল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতেও একই অবস্থা। দেশটির নাসিক, বেঙ্গালুরু ও ইন্দোরে বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পণ্যটির সরবরাহও। এ ধারাবাহিকতায় এখন শুধু ভারতের ইন্দোর থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জের ধরে পণ্যটির আমদানি সীমিত হয়ে আসায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পাইকারি বাজারে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।