তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণদের দক্ষ করতে ‘স্কুল অব লাইফ’ আয়োজনের শুরু

প্রকাশ: আগস্ট ১৫, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন (ওয়াইইএফ) গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হলো দেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক জীবন ঘনিষ্ঠ দক্ষতা অর্জনের আয়োজন স্কুল অব লাইফ গতকাল থেকে শুরু হওয়া আয়োজনে কভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে দেশের তরুণদের খাপ খাইয়ে নিতে বিশেষভাবে যোগ্য দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে। তরুণদের সময়োপযোগী দক্ষতা শিক্ষা দিতে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন গ্লোবাল চালু করেছে পোস্ট-কভিড রেডি অনলাইন স্কুল ওয়াইইএফ-স্কুল অব লাইফ

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যে, ১৩টি মাইক্রো লেভেলের কোর্স দিয়ে সাজানো হয়েছে স্কুল অব লাইফের কার্যক্রম। যার মধ্যে রয়েছে নেটওয়ার্কিং, প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল কমিউনিকেশন, আন্তর্জাতিক মানের সিভি প্রস্তুতি, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংসহ গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দক্ষতা।

অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে রিসোর্স পারসন হিসেবে থাকছেন দেশবরেণ্য শিক্ষক, চিকিৎসক, সফল উদ্যোক্তা, জনপ্রিয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, লাইফকোচসহ টপিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ। স্কুল অব লাইফের কোর্সগুলো মূলত তরুণদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন কোর্সে। পাঁচ শতাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ওয়াইইএফ গ্লোবালের নিজস্ব অর্থায়নে ১২০ জন আবেদনকারীকে ৯০ শতাংশ ৩০ জনকে শতভাগ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল অনলাইনে এক অনাড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন ওয়াইইএফ গ্লোবালের ফাউন্ডার গ্লোবাল সিইও কাজী হাসান রবিন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার।

প্রফেসর হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতেও ওয়াইইএফ গ্লোবালের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মুনির হাসান বলেন, বর্তমানের তরুণদের চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী হতে হবে। করোনাকালে বহু মানুষ তাদের কর্ম হারিয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২২ লাখ তরুণ বছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। কিন্তু সে তুলনায় দেশে চাকরির বাজার সেভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। সামনে একটা কঠিন সময় আসছে, সে কঠিন সময়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হলে স্কুল অব লাইফের মতো ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালাগুলোতে অংশগ্রহণ শেখার বিকল্প নেই।

তপন কান্তি সরকার তার বক্তব্যে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ভবিষ্যতে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বেশি করে টেকনিক্যাল কর্মশালার আয়োজন করা প্রয়োজন। যাতে করে আমাদের দেশের তরুণরাই অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগলের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫