সর্বশেষ দিনে দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরো ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫১৩ জন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনাবিষয়ক লাইভ হেলথ বুলেটিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানায় অধিদপ্তর।
সরকারের দেয়া তথ্য বলেছে, দেশে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সেই হিসেবে শনাক্তের ১৫৮তম দিনে মৃত্যু সাড়ে তিন হাজার ছাড়াল। এদিকে সংক্রমণের এ ২৪তম (চলতি) সপ্তাহের মধ্যে ২২ সপ্তাহ (১৪৮ দিন) ধরে প্রাণহানি ঘটছে। সর্বশেষ দিনেও মারা গেছেন ৪২ জন রোগী। সংক্রমণ ও প্রাণহানিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দেশে সর্বশেষ যে দুই হাজার জনের মৃত্যু হতে সময় লেগেছে মাত্র ৪৮ দিন, এ দুই হাজারের প্রতি হাজারের জন্য সময় লাগে সমানসংখ্যক ২৪ দিন। অর্থাৎ এর আগের ১০০ দিনে যেখানে দেড় হাজার জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে পরের প্রতি হাজার জনের মৃত্যু হতে এক মাসেরও কম সময় লেগেছে।
১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর সংখ্যাটি ৫০০ অতিক্রম করে ২৫ মে। ১৫ দিনের ব্যবধানে ১০ জুন তা হাজার ছাড়িয়ে যায়। মাত্র ১২ দিন পর ২২ জুন তা দেড় হাজার ছুঁয়ে ফেলে। ৫ জুলাই সংখ্যাটি দুই হাজার এবং ১৭ জুলাই সেটা আড়াই হাজার অতিক্রম করে। তারপর ২৮ জুলাই তা তিন হাজার ও আগস্টের ১২তম দিনে এসে সাড়ে তিন হাজারের কোটা পার হয়।
এদিকে সর্বশেষ দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোট ৮৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয় ১৪ হাজার ৫৫০টি, পরীক্ষা হয় ১৪ হাজার ৭৫১টি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ ২ হাজার ৭৩৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৯৫ জন, এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৭ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩০ ও এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ ও নারী নয়জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ২ হাজার ৭৮২ ও নারী ৭৩১ জন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২২ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২৪ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের তিনজন করে, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চারজন এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪৭৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৮, রংপুর বিভাগে ৪২, খুলনা বিভাগে ১৬০, বরিশাল বিভাগে ৩২, রাজশাহী বিভাগে ২৫৭, সিলেট বিভাগে ৪৯ ও ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন ১১ জন।