রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ: আগস্ট ১২, ২০২০

আদালত প্রতিবেদক

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসাইনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন ব্যবসায়ী মো. গোলাম মোস্তফা (আদর)।

বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী গোলাম মোস্তফা আদর সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নিকট আত্মীয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

মামলায় আসামি বেলায়েত হোসেনের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ বা ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর অফিসে দুই বছর পূর্বে বেলায়েত হোসেনের সাথে পরিচয় হয় আদরের। এরপর তাদের মাঝে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই পরিচয়ের সূত্রে আদরের বাবা গোলাম মোহাম্মদের কাছ থেকে বেলায়েত হোসেন তার কেনা জমি রেজিস্ট্রি করতে গত বছরের ১১ আগস্ট ৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। ওই ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য আসামি গত ১৫ মার্চ  ৫ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। পরদিন আদর চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করেন।

এরপর গত ৪ এপ্রিল আসামি বেলায়েত হোসেন বাদী আদরের বাবার কাছে একজন লোক পাঠান। তিনি নিজেকে ডিবির অফিসার পরিচয় দেন। তখন আসামি বাদীর বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ১৬ মার্চ ব্যাংক থেকে উত্তোলিত ৫ লাখ টাকা না ফেরত না দিলে তার ছেলের অসুবিধা হবে।

পরে বাদীর বাবা ৫ লাখ টাকার একটি চেক আসামি বেলায়েত হোসেনের নামে লিখে দেন। গত ১০ এপ্রিল বাদীর সাথে তার বাবার কথা হয়। বাদী জানতে পারেন যে, ব্ল্যাকমেইল করে বেলায়েত হোসেন তার বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।

পরে বাদীর বাবা ব্যাংককে চেকটি পাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। গত ৮ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বেলায়েত হোসেনের সাথে ১৫ বা ১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তারা বাদীকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো এবং বাদীর নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানাসহ জেলের হুমকি দেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পারায় বাদী আদরকে তারা মারপিট করে মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে নিয়ে যায়।

বাদীকে আটকের কথা জেনে আদরের বাবা, মা এবং স্ত্রী ডিবি কার্যালয়ে যান। তখন আসামি বেলায়েত হোসেন ২৫ লাখ টাকা না দিলে আদরকে ক্রস ফায়ার দেয়া অথবা ৮শ বোতল ফেনসিডিলসহ অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।

তখন আদরের বাবা বাধ্য হয়ে আসামিকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর ১০ আগস্ট আসামিকে আরও ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। সর্বশেষ, পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে আরও ৬ লাখ টাকা না দিলে আসামি বাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেয়ার হুমকি দেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫