জ্বালানি দিবসের সেমিনারে বক্তারা

দেশীয় সক্ষমতা দিয়ে জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নিতে হবে

প্রকাশ: আগস্ট ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জ্বালানি খাতে গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করতে হলে আরো বেশি অনুসন্ধান চালাতে হবে। সমুদ্র ভূ-ভাগে কী পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তার জন্য আরো বেশি জরিপ প্রয়োজন। আর এসব কাজে বিদেশী কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভরশীল না হয়ে দেশীয় সক্ষমতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।

গতকাল জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এনার্জি সিনারিও অব বাংলাদেশ: প্রসপেক্টস চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

সেমিনারে জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ তামিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে শেল ওয়েল কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাস কোম্পানি কিনে জ্বালানি খাতে তার পলিসির পরিচয় তুলে ধরেছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) জ্বালানি খাতে একটা সেক্টরাল রিফর্ম ঘটাতে চেয়েছিলেন, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এবং সেটা তিনি করেছিলেনও। বর্তমানে তার সেই রিফর্মগুলো জ্বালানি সেক্টরে সার্বক্ষণিক আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে জ্বালানি সেক্টরে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

আমদানির যৌক্তিকতা প্রশ্নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা যায় সেজন্য আমরা আমদানির দিকে গিয়েছি। মুহূর্তে যদি আমরা আমদানির দিকে না যেতাম, তাহলে আমাদের যে গ্যাসের চাহিদা, যে ব্যাপ্তি, তার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক তৈরি হতো।

তিনি বলেন, কভিডের মধ্যে কিন্তু আমাদের গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। আগে যেখানে ২৭০০ এমএমসিএফডি ছিল এখন তা ৩২০০ এমএমসিএফডিতে পৌঁছে গেছে। সুতরাং দিন দিন আমাদের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ খাতে হোক, নিজস্ব কাজে হোক চাহিদা বাড়ছেই।

সেমিনারে প্রধান অতিথি এবং প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক--ইলাহী চৌধুরী বলেন, জ্বালানি পলিসি বা জ্বালানির চিন্তাভাবনা এটা সরকারের সার্বিক পলিসির মধ্যে পড়ে। জ্বালানির বিষয়টি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে চিন্তা করতে হবে।

সেমিনারের শুরুতেই কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান, জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক . মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক . আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা মো. আমজাদ হোসেন প্রমুখ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫