দেশে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার ২৫% বেড়েছে

প্রকাশ: আগস্ট ০৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার এখন বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে এখন মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার ৪০ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানো হার এখন ৬৫ শতাংশ।

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষ্যে আজ রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই তথ্য দেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা ও বন্যার দুর্যোগের সময়েও বাংলাদেশে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোতে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত শ্রমের ফলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিন হিরো থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে পুরস্কৃত করেছে। 

এসময় নানা কারণে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি টেস্টের সংখ্যা কমেছে, এটা সত্যি। সেটা একদিকে হয়তো বন্যার কারণে।  অন্যদিকে টেস্ট করাতে কিছু মানুষের অনীহাও আছে। রোগীরা ভাবছে যে এমনি ভালো হয়ে যাচ্ছি। এটাও একটা কারণ হতে পারে। 

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, দেশে এখন ৮০টির অধিক ল্যাব রয়েছে। কিটের কোনো সংকট নেই। তারপরও আমরা সব সময় আহ্বান করছি আপনারা টেস্ট করান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, মানুষের ভেতরে এখন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর হার আস্তে আস্তে কমে এসেছে। মানুষ হাসপাতালে এবং টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছে। ৪ থেকে ৫ হাজার ডাক্তার টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, যারা রোগী তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, এই সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ। প্রয়োজনে ওষুধ পর্যন্ত রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার মত সেবা দেওয়া হচ্ছে। যখন ক্রিটিক্যাল হয় তখন তারা হাসপাতালে যাচ্ছেন। হাসপাতালে আসার সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে সেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ সিট খালি থাকছে।

এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫