উপসর্গহীনরাও সমপরিমাণ ভাইরাস বহন করে

প্রকাশ: আগস্ট ০৯, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথচ উপসর্গহীন, এমন রোগীরা অনেকে রোগটিকে পাত্তাই হয়তো দেয় না। কিন্তু সেও উপসর্গ থাকা রোগীর মতোই অন্যদের জন্য সমান ভয়ংকর হতে পারে। বিশেষ করে অন্যদের সংক্রমিত করার ক্ষেত্রে। কেননা উপসর্গহীন রোগীর শরীরেও উপসর্গযুক্ত রোগীর সমপরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা এমন দাবি করছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যে টি দেশ মোটামুটি সফল তাদের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। মার্চ থেকে ব্যাপক হারে পরীক্ষা করে তারা উপসর্গহীন রোগীও শনাক্ত করেছে এবং তাদের আলাদা রাখতে সমর্থ হয়েছে।

গবেষকরা অনেক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন যে উপসর্গহীন রোগীরাও উল্লেখযোগ্য হারে রোগটির বিস্তার ঘটাতে সক্ষম। তবে এসব রোগী প্রকৃতপক্ষে ভাইরাস কতটা ছড়ায় তা গবেষকরা বের করে আনতে সমর্থ হননি।

করোনাভাইরাসে পজিটিভ শনাক্ত রোগীকে কমিউনিটি চিকিৎসা কেন্দ্রে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাতে বিজ্ঞানীরা দেখার সুযোগ পেয়েছেন তাদের নাক গলার সোয়াবে কী পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।  এসব রোগীকে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়েছে এবং নেগেটিভ হওয়ার পরই ছাড়া হয়েছে।

হাজার ৮৮৬ জনকে পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। পরীক্ষার সময় তাদের কোনো উপসর্গ ছিল না এবং যাদের কখনই উপসর্গ দেখা দেয়নি, এই দুই ধরনের রোগীর নাক গলার সোয়াবে সমান পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি দেখেছেন গবেষকরা, যেমনটি থাকে উপসর্গযুক্ত রোগীদেরও।

গবেষণা বলছে, উপসর্গহীন ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সময়কাল পর্যন্ত ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা যেতে পারে, যদিও উপসর্গযুক্ত মানুষের চেয়ে তারা খানিকটা দ্রুত সেরে ওঠেন।

বিবিসি


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫