বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে একদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল পুঁজিবাজারে লেনদেনে ফিরবে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৫ টাকা ৫৫ পয়সা।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৮ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯৩ পয়সা, ৩১ মার্চ শেষে যা ছিল ১৫ টাকা ৭৫ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। তার আগের হিসাব বছরে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক শূন্য ৬, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৮৬, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫১ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৪ দশমিক ২১, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৩৫ দশমিক ৮।