চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: আগস্ট ০৭, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রয়োজনীয় চাল আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল তাকে উদ্ধৃত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছেন। গত অর্থবছরে সরকারিভাবে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। অনুমতির ফলে আবার চাল আমদানিতে ফিরতে পারে সরকার।

জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টন চাল গম আমদানি হয়েছে। চার দশকের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে চালের পরিমাণ একেবারেই কম ছিল। যার মধ্যে সরকারিভাবে কোনো চাল আমদানি হয়নি গত অর্থবছরে। তবে মোট আমদানির সিংহভাগই ছিল গম, যার পরিমাণ ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টন। চার দশকে সর্বোচ্চ ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার টন চাল আমদানি হয় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। যদিও চলতি বছরে দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছে খাদ্য কৃষি সংস্থা।

মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ না করায় শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করছিলেন না। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন তিনি।

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সে অনুযায়ী ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ টন আতপ চাল সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল। কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মিল মালিকরা ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে আগ্রহী হননি। উল্টো সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি করছিলেন তারা। মিলাররা চুক্তিমূল্যে চাল না দেয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫