পরিত্যক্ত ব্রিটিশ দ্বীপে প্রকৃতির দখল

প্রকাশ: জুলাই ২৩, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে আর্জেন্টিনা ও অ্যান্টার্কটিকার মধ্যে অবস্থিত সাউথ জর্জিয়া আইল্যান্ড। বরফাবৃত পাহাড়চূড়া আর বাতাসে তুন্দ্রা ঘাসে তোলা ঢেউ নাটকীয় এক দৃশ্যের অবতারণা করে। অর্ধচন্দ্রকার-আকারের দ্বীপটি কৌশলগতভাবে ব্রিটেনের মূল ভূখণ্ডের বাইরের অঞ্চল, যদিও এর মালিকানা দাবি করে আসছে আর্জেন্টিনা। দ্বীপটি এতটাই দূরে ও সেখানে পৌঁছা এতটাই কঠিন, যে কারণে ব্রিটেনের অনেক মানুষ জীবনে কখনো এ দ্বীপের নামও শোনেননি।  

দ্বীপটিতে কোনো এয়ারপোর্ট নেই। কাজেই সেখানে পৌঁছার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌযান। তিয়েরা দেল ফুগো কিংবা ফকল্যান্ড দ্বীপ থেকে পৌঁছানো যায় সাউথ জর্জিয়া দ্বীপে, যাতে অন্তত দুইদিন ও দুই রাত লেগে যাবে এবং পৃথিবীর অন্যতম উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিতে হয়।

দূরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়াটা সাউথ জর্জিয়া দ্বীপের জন্য গোপন এক আশীর্বাদই। কারণ, মানুষের উপস্থিতি থেকে অনেকটা দূরে হওয়ায় এখানকার প্রকৃতি ঠিকমতো প্রস্ফূটিত হতে পারে। সাউথ জর্জিয়ায় জীববৈচিত্র্যের বিন্যাস এতটাই মনোমুগ্ধকর ও বিস্ময় জাগানিয়া যে এটিকে কখনো কখনো ‘মেরুর গ্যালাপাগোস’ নামে ডাকা হয়। 

ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত সাউথ জর্জিয়া হলো সবচেয়ে বৃহত্তম বিন্দু যা দর্শনীয় আর ছবির মতো সুন্দর কিন্তু অতিথিবৎসল নয়। এটিকে বলা হয় জর্জিয়া ও সাউথ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জ। এর এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার; আর মোট আয়তন ৩ হাজার ৫২৭ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা কর্নওয়ালের সমান।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫