মহামারী শেষে পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ে উঠবে?

প্রকাশ: জুলাই ১৫, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাস মহামারীটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বন্ধ করার আগে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাদা বালুকাময় সৈকত, প্রাচীন মন্দির বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসে ভিড় করত। গত বছর ১৩ দশমিক কোটি পর্যটক অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছে। কিছু স্থানে ভিড় এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে স্থানীয়রা, পরিবেশবিদ এবং এমনকি সরকার পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিল যে ওভারট্যুরিজম অঞ্চলের ভঙ্গুর ইকোসিস্টেমকে ব্রেকিং পয়েন্টে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রবাল মারা যাওয়া, সামুদ্রিক জীবন অদৃশ্য হওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত সাংস্কৃতিক সাইট, প্লাস্টিক মানববর্জ্যের কারণ হিসেবে শান্ত দ্বীপগুলোতে উপচে পড়া পর্যটক এবং তাদের আকর্ষণ সমন্বয় করার জন্য লাগামছাড়া উন্নয়নকে দায়ী করা হয়েছিল।

কম্বোডিয়ার মতো দেশে, যেখানে পর্যটকরা জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ অবদান রাখে, সেই দেশগুলোতে প্রভাবটা সর্বনাশা। প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, মহামারীর কারণে এশিয়া-প্যাসিফিকে ৩৪ দশমিক বিলিয়ন ডলার লোকসান হবে। এজন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো উত্তোলনের পর দেশগুলো অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পর্যটক আকর্ষণের প্রতিযোগিতা শুরু করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের বিরতি পর্যটননির্ভর দেশগুলোকে তাদের অর্থনীতিকে উপকৃত করে এবং ইকোসিস্টেমকে সুরক্ষিত রেখে কীভাবে পর্যটন শিল্পকে পুনর্নির্মাণ করা যায় তা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। 

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাপরিচালক জুরাব পলোলিকাশভিলি বলেন, আমরা আরো পরিবেশবান্ধব পর্যটন খুঁজছি। তবে পর্যটন জাতীয় আয়ের বড় একটি অংশ এবং এটা স্থানীয়দের জন্য প্রচুর চাকরি অর্থের জোগান দেয়। তাই সঠিক ভারসাম্য খুঁজতে আমাদের সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সিএনএন

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫