ক্যাশলেস ট্রানজেকশনে ঝুঁকছে দেশ: সিটিও ফোরাম

প্রকাশ: জুলাই ১৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে যে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, বাংলাদেশেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা প্রযুক্তি খাতকে মানিয়ে নিতে যথাযথ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। চলমান বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশও এখন ক্যাশলেস ট্রানজেকশনের দিকে ঝুঁকছে। গত শনিবার প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তাদের সংগঠন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত লিডারস থট ইন নিউ নরমাল এরা শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনির, বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সংগঠনের সভাপতি এমএ হাকিম -ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

সিটিও ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কভিড-১৯ মহামারী সাধারণ জীবনযাত্রায় বড় এক ধাক্কা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক সূক্ষ্ম থেকে বৃহৎ পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি কবে যাবে বা আদৌ যাবে কিনা কিংবা ভ্যাকসিন বের হবে কিনা বা হলেও কতদিন লাগবে, তা নিয়ে বক্তারা সংশয় প্রকাশ করে বলেন, বসে থাকলে চলবে না।

বক্তারা বলেন, চাইলেই এখন বাসা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। অফিস/আদালত/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/ কল-কারখানা/গার্মেন্টস/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন হোম অফিস/রোস্টিং ডিউটি বা মিনিমাম সার্ভিস সরবরাহে সব খুলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সীমিত আকারে পাঠদান প্রদান করছে। বিজনেস মিটিং থেকে শুরু করে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এজিএম, এমনকি সামাজিক দেখা-সাক্ষাৎও অনলাইন মিটিং টুলের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বেশির ভাগ কেনাকাটা অনলাইনে হচ্ছে। যেখানে না হলেই নয় এমন সব বাদে ক্যাশলেস ট্রানজেকশনই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে পারিবারিক, ব্যবসায়িক, চাকরি পরিশেষে অর্থনৈতিক বা সামাজিক সর্বত্রই ঘটছে পরিবর্তন। পরিবর্তন সাময়িক নয়। এসব পরিবর্তনের মধ্যে বেশকিছু নতুন ব্যবস্থা আমাদের জীবনধারায় স্থায়ীভাবে রয়ে যাবে।

সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরতদের সামনের দিনগুলোকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে বলেন।

বেসিস সভাপতি দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোকে আরো উদ্যমী সৃজনশীল হতে বলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহিদ উল মুনির আশ্বস্ত করেন, প্রথমদিকে হার্ডওয়্যারের সার্ভিস রিলেটেড সমস্যা হলেও এখন তারা সে অবস্থা কাটিয়ে উঠেছেন।

কল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ বলেন, কল সেন্টারগুলোতে আসতে আসতে অটোমেশন বা চ্যাটবটের দৌরাত্ম্য বাড়বে। সেক্ষেত্রে স্কিল্ড লোক ছাড়া নিউ নরমাল চাকরির বাজার সংকীর্ণ হয়ে পড়বে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সংগঠনের সভাপতি এমএ হাকিম বলেন, নতুন পরিবর্তিত সময়ে ইন্টারনেটের চাহিদা বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনে আরো বৃদ্ধি পাবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫