সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি

নাগরিকদের প্রত্যাগমনের সংখ্যা কমিয়েছে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশ: জুলাই ১১, ২০২০

বণিক বার্তা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের প্রত্যাগমন সংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় শুক্রবার জানানো হয়, সোমবার থেকে প্রতিদিন পূর্বনির্ধারিতদের অর্ধেক নাগরিককে দেশে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেয়া হবে। খবর এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে প্রতিদিন মাত্র চার হাজার নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবে। বর্তমানে সংখ্যা আট হাজার। তিনি বলেন, মেলবোর্নে যেভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। কর্তৃপক্ষ গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ২৮৮ জন সংক্রমণের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। মধ্য জুনের পর একদিনে এত বেশি সংক্রমণ আর দেখা যায়নি। তবে ব্যাপক মাত্রায় করোনা টেস্টের পরিপ্রেক্ষিতেই সংক্রমণও বেশি শনাক্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রিমিয়ার ডেনিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, পরিস্থিতি সব সময়ই ভালো হওয়ার আগে খারাপের দিকে যায়। আমরা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি করোনা পরীক্ষা করছি। ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজারের বেশি লোকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

মূলত মেলবোর্নে সম্প্রতি কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শহরটির ৫০ লাখ বাসিন্দাকে ছয় সপ্তাহের জন্য ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার অন্য রাজ্য কিংবা অঞ্চলে ভ্রমণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, মেলবোর্নের লকডাউন সংক্রমণ প্রশমনে কতটা কার্যকর হয়েছে, তা বুঝতে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। আর মেলবোর্ন এলাকায় ঘরের বাইরে যথার্থভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে লোকজনকে ফেস মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় ধরনের নির্দেশ এবারই প্রথম দেয়া হলো।

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫